ePaper

টানা ৭ কার্যদিবস পতনে শেয়ারবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস আজ বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে কমেছে প্রধান মূল্যসূচকও। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে টানা ৭ কার্যদিবস দরপতন হলো। টানা ৬ কার্যদিবস পতনের পর বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে দিনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। অবশ্য লেনদেনের এক পর্যায়ে ব্যাংকসহ বেশিরভাগ বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে। এতে মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী হয়। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ বড় মূলধনের শেয়ার দাম বাড়ার ধারণা অব্যাহত থাকে। এর ফলে দাম কমার তালিকা বড় হলেও সূচকের বড় পতন হয়নি। এমনকি বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক বেড়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৪টির। আর ৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে টানা ৭ কার্যদিবসের পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমলো ২২০ পয়েন্ট। এর আগে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৪ হাজার ৬৭৭ পয়েন্ট থেকে দফায় দফায় বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে উঠে। ২৮ কার্যদিবসে এই উত্থান হয়। অর্থাৎ ২৮ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ে ৮৫৯ পয়েন্ট। এদিকে অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক বুধবার ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৫৭ পয়েন্টে উঠে এসেছে। প্রধান মূল্যসূচক পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭০৪ কোটি ৮৮ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৬৬৬ কোটি ৫১ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এই লেনদেনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। ১৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, রহিমা ফুড, সিটি ব্যাংক, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, সোনালী আঁশ এবং মালেক স্পিনিং। অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০০টির এবং ২৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *