নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। জুলাই গণহত্যার বিচারও চলবে। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, গত ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে। এর পর দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। এ পর্যায়ে আমাদের কাজ হলো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। প্রধান উপদেষ্টা উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করাই এখন সরকারের প্রধান দায়িত্ব।’ সরকারের এক বছরে ৩২৫টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তন্মধ্যে ২৪৭টি বাস্তবায়ন করেছে। প্রেস সচিব আরও জানান, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় জীবনবাজি রেখে শিক্ষক মেহেরিন চৌধুরী শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তার নামে একটি অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপদেষ্টাদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরাও বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত কয়েকটি নির্ধারিত বিষয়ের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়
উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৭৮.৪১ শতাংশ
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর গত এক বছরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৭৮ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা এ যাবতকালে সর্বোচ্চ। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার (গত বছরের ৮ আগস্ট) পর থেকে গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৪১টি উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে ১৯৪টি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব বৈঠকে নেওয়া ৩১৫টি সিদ্ধান্তের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে ২৪৭টি (বাস্তবায়ন হার ৭৮ দশমিক ৪১ শতাংশ)। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর এটি যে কোনো সরকারের জন্য একটি রেকর্ড। প্রেস সচিব বলেন, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন আছে ৬৮টি। এ সময়ে অধ্যাদেশ প্রণয়ন হয়েছে ৫৬টি। অধ্যাদেশ প্রক্রিয়াধীন আছে ১০টি। নীতি, নীতিমালা, কর্মকৌশল, কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন হয়েছে ছয়টি। দ্বিপাক্ষিক ও আন্তর্জাতিক চুক্তি প্রটোকল অনুমোদন বা অনুসমর্থন হয়েছে ২৩টি। উপদেষ্টা পরিষদের জন্য সারসংক্ষেপ উপস্থাপন হয়েছে ১৯৪টি।
