ক্রীড়া প্রতিবেদক
দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ ইমার্জিং দল গত এপ্রিলে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল। যেখানে তিন ম্যাচের দুটিতে জয়লাভ করে সিরিজ নিজেদের দখলে নিয়েছিল হাই-পারফরম্যান্সের (এইচপি) ক্রিকেটাররা। সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে জেতাতে বড় অবদান রাখেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার তোফায়েল আহমেদ। তবে ম্যাচ জেতানোর পরই শুনতে হয় দুঃসংবাদ। চোটের কারণে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে আর খেলতে পারেননি তোফায়েল। এরপর ইনজুরি কাটিয়ে যোগ দিয়েছেন এইচপির অনুশীলন ক্যাম্পে। নিজেকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে তিনি কঠোর অনুশীলন করেছেন। চলতি মাসেই অস্ট্রেলিয়াতে টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। যে দলের হয়ে খেলতে যাচ্ছেন তোফায়েলও।আজ (বৃহস্পতিবার) রাতেই প্রথম ভাগে দেশ ছাড়বে ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। আসন্ন সফর নিয়ে ঢাকা পোস্টকে তোফায়েল বলেন, ‘(এত দ্রুত দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে) ওইভাবে তো চিন্তা করিনি, আমি এইচপির প্রসেসের ভেতরেই ছিলাম। তখন চিন্তা করছিলাম যে সামনে সাদা বলের খেলা আছে, ডাক পেতে পারি। পরে অনুশীলন ও ক্রমান্বয়ে ক্যাম্প করেছি। এখন সামনে যেটা (সিরিজ) আছে সেটা নিয়ে ভাবছি।’বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ নিয়ে তোফায়েল বলেন, ‘সোহান ভাই আমাকে দেখে বলেছে যে তুই প্রেশার নিয়ে ফেলতেছিস। তোকে তো খেলা জেতানোর জন্য বলছি না, খেলা তো আমরা জেতাবো। তুই শুধু মাঠে থাকবি আর কিছু না। তবে অবশ্যই তারা (কোচ–অধিনায়ক) আমাকে নিয়ে অনেক বড় পরিকল্পনা করেছে। যে কারণে আমাকে দলে রেখেছে আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।’অধিনায়ক থেকে নিজের কাজ সম্পর্কে জানতে পারলে সহজ হয় বলেও দাবি এই পেস অলরাউন্ডারের, ‘অধিনায়ক যখন আলাদা স্পেসিফিক রোল দিয়ে দেয়, কাজটা সহজ হয়ে যায়। আমার রোলটা কি থাকবে সেটা বুঝতে পারি, তখন পারফর্ম করাটাও সহজ হয়। এটা আমার জন্য একটা পজেটিভ সাইন। সবাই আমাকে পজেটিভলি নিয়েছে, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ দারুণ।’অস্ট্রেলিয়াতে সেরা তিন খেলোয়াড়ের একজন হওয়ার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও প্রত্যাশা তোফায়েলের, ‘আমার তো ইচ্ছা থাকবে যে সেরা পারফরমারদের মধ্যেই থাকা। দলের যারা থাকবে তাদের তিনজনের মধ্যে একজন হওয়ার ইচ্ছা থাকবে। তাহলে আমার সামনের পথটাও সহজ হবে, এটাই হওয়া উচিত আমার। আমাদের দলটা অনেক অভিজ্ঞ, বেশ ভালো ভালো ক্রিকেটার রয়েছেন। ট্রফি জিততে না পারার কোনো কারণ নেই।’
