মিলন পাটোয়ারী, জলঢাকা নীলফামারীর জলঢাকায় “জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা শাখার উদ্যোগে এক বিশাল গণমিছিল ও আলোচনা সভা জিরোপয়েন্ট মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার সকাল ১১টায় জলঢাকা আল-ফালাহ্ জামায়াত অফিস থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত জামায়াত নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাজনৈতিক অধিকার, জুলাই শহীদের বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে। আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ, শহীদের রক্ত বৃথা দিতে দিবো না, আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাইরে, দড়ি লাগলে দড়ি নেয়ে খুনি হাসিনার ভাসি দেয়ে, চাঁদাবাজিদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে একসাথে, কথায় কথায় বাংলা ছাড় বাংলা কি তোর বাব দাদার, এমন অসংখ্য স্লোগান মুখরীত হয়ে তুলেন, পরে মিছিল টি জলঢাকা জিরোপয়েন্ট মোড়ে এসে আলোচনা সভা মিলিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা আমির মোখলেসুর রহমান, সঞ্চালনায় ছিলেন, উপজেলা সেক্রেটারি মোয়াম্মার আল হাসান, উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য জলঢাকা আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী, অধ্যক্ষ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফি, বিশেষ অতিথি, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি, মনিরুজ্জামান জুয়েল, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য, প্রভাসক সাদের হোসেন, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও জলঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি, কামারুজ্জামান, উপজেলা সহকারি সেক্রেটারি প্রভাসক মুজাহিদ মাসুম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ইসলামী আন্দোলনের পথেই বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি নিহিত রয়েছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিভিন্ন অপশাসন, দমন-পীড়ন ও রাজনৈতিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। জুলাই হামলায় শাহাদাতবরণকারী শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। প্রধান বক্তা বলেনÑ“জুলাই শহীদরা নিজেদের প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন, এই জাতি ইসলামী আদর্শ ও ন্যায়ের পথে পিছপা হয় না। তারা রক্ত দিয়ে যে বীজ রপন করে গেছেন, তা একদিন ইনশাআল্লাহ ইসলামী সুবিচারের বৃক্ষে পরিণত হবে শহীদদের আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা। তিনি আরও বলেন, এই ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে নির্যাতন, গুম, খুন, গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ইসলামপন্থীদের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা শহীদদের রক্তের মর্যাদা রাখতে আমরা শুধু আমাদের স্বজন হারাইনি, হারিয়েছি গণতন্ত্রের কণ্ঠ। সেই সময়ের নির্যাতন, গুম, মিথ্যা মামলা আর আন্দোলন দমনের ভয়াবহ স্মৃতি আজও ভুলতে পারিনি, গণতন্ত্র রক্ষায়, গণহত্যাকারীদের দ্রুত বিচার’ দাবি করেন এবং আগামী প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে পাঠ্যপুস্তকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ অন্তর্ভুক্তির সচাল রাখা, এই দিনটি আমাদের অস্তিত্বের ইতিহাস আমরা শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং নতুন প্রজন্মকে তাদের আত্মত্যাগের
জলঢাকায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জামায়াতের গণমিছিল
