ePaper

নীলফামারীতে বিদেশি ফল রাম্বুটান চাষাবাদ করে সফল নারী উদ্যোক্তা খাদিজা আক্তার

হামিদুল্লাহ সরকার নীলফামারী

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের  সুনগড় গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষি উদ্যোক্তা খাদিজা আক্তারের জমিতে থোকায় থোকায় ঝুলছে বিদেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন রাম্বুটান ফল। লিচু, কাঠলিচু ইত্যাদি ফলের সাথে এই ফলের  সাদৃশ্য। রাম্বুটান দেখতে অনেকটা লিচুর মত, তবে এর ত্বক লোমশ এবং আকারে কিছুটা বড় হয়ে থাকে। এর আকার মাঝারি ধরনের এবং বর্ণ লাল। ফলন ভালো আর পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় অনেকে তার বাগানে আসছেন এবং চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। রাম্বুটান চীন, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি উৎপন্ন হয়। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও এর চাষ শুরু হয়েছে। চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায়  নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার সুনগড় গ্রামে চাষে সফলতা পেয়েছেন খাদিজা আক্তার। এখন তার বাগানে লাল রঙের এ ফলটি গাছের ডালে ডালে থোকায় থোকায় ঝুলছে রাম্বুটান। যেহেতু এ অঞ্চলের মাটিতে ফলন ভালো হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষের অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সফল এই কৃষি উদ্যোক্তা খাদিজা আক্তার বলেন, ছেলেরা ঢাকায় লেখাপড়া করার সুবাদে এই ফলের গাছের চারর সন্ধান পাই, ঢাকা থেকে প্রাথমিক ভাবে আমারা ২০১৮ সালে দুই হাজার টাকা করে ২০ টা গাছের চারা নিয়ে এসে বিশ শতাংশ জমিতে লাগাই, সর্বশেষ সাতটি চারা গাছ মারা গিয়েছে বর্তমানে আমাদের বাগানে ১৩ টি গাছ রয়েছে, গতবছর অল্প কয়েকটি গাছে সীমিত আকারে কিছু ফল দেখা দেয়। কিন্তু চলতি মৌসুমে এবার তার ১৩টি গাছে ব্যাপক ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কেজি রাম্বুটানের ফলন হয়েছে। পুরোপুরি বাগানেই বিক্রি করছেন প্রতি কেজি হাজার টাকা দরে। তিনি আরও বলেন, জৈব সার আর অল্প সেচ দিয়ে রামবুটান ফলের চাষ করা যায়। ইতিমধ্যে চাষীদের মাঝে এ ফল ছড়িয়ে দিতে নিজের বাগানে কলম চারা তৈরি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। খাদিজা আক্তারের ছোট ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, প্রতিদিনই অচেনা এ ফল দেখতে  বাগানে ভীড় করছেন নানা বয়সের মানুষ। অনেকেই কিনে নিয়ে যান বাড়িতে। এছাড়া ভালো ফলন ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এ ফল চাষে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এ ফলটি উপজেলায় নতুন চাষ শুরু হয়েছে। চাষী আ. রহমান এ ফল চাষে সফল হয়েছেন। তার মত আরও অনেকেই এ ফলের গাছ রোন করেছেন। কৃষি বিভাগ থেকে চাষীদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *