মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ সদর উপেজলার রাজিবপুর আদর্শ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কলেজ চলাকালীন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হলেও কলেজ শেষে সেই পতাকা নামিয়ে অযত্ন-অবহেলায় রাখা হয় সিঁড়ির নীচে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিন দেখা যায়, কলেজ বন্ধ রয়েছে। কোন শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মচারী নেই কলেজে। মূল ভবনের কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ রয়েছে। সেই ভবনের সিঁড়ির নীচে দুমড়ানো-মুচড়ানো অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে জাতীয় পতাকা। এভাবে জাতীয় পতাকা অবমাননা করার কিছু ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। স্থানীয়রাও এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। বিধি অনুযায়ী, পতাকা আইন অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সূর্যাস্তের পূর্বেই নামিয়ে ফেলতে হবে। সূর্যাস্তের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা অবস্থায় থাকলে সেটা জাতীয় পতাকার অবমাননা। একইভাবে পতাকাকে যেনতেনভাবে ব্যবহার করা যাবে না। জাতীয় পতাকা নিচু করা যাবে না বা ভূমি স্পর্শ করানো যাবে না। পতাকা কোনো ব্যক্তি বা জড়বস্তুর দিকে নিম্নমুখী করা যাবে না। পতাকা কখনোই আনুভূমিকভাবে বা সমতলে বহন করা যাবে না। সব সময় ঊর্ধ্ব এবং মুক্তভাবে থাকবে। বাংলাদেশের পতাকা কোনো কিছুর আচ্ছাদন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম বলেন, জাতীয় পতাকা ভালোটা যত্ন করে সংরক্ষণ করা আছে। সিঁড়িতে যেটা আছে ওটা পুরাতন ও নষ্ট পতাকা। ওটাকে যদি অবমাননা মনে করেন তাহলে সড়িয়ে ফেলা হবে। কলেজের সভাপতি আলী আশরাফ বলেন, কলেজের মধ্যে কেউ জাতীয় পতাকা অবমাননা করতে পারে এটা অবিশ্বাস্য। আমি এখনই খোঁজ নিচ্ছি। জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমীর হোসেন বলেন, আমি এখনই খোঁজখবর নিচ্ছি এবং বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বলছি। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন বলেন, জাতীয় পতাকা পুরাতন হলেও এভাবে ফেলে রাখার সুযোগ নেই, সম্মানের সাথে রাখতে হবে। আমি অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে এখনই জিজ্ঞাসা করছি।
