নিজস্ব প্রতিবেদক
১০-১২ দিন আগেও যে গালা আপেল বিক্রি হয়েছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, সেই আপেল এখন বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা। শুধু গালা আপেল নয়, এই কয়েকদিনের ব্যবধানে সবুজ আপেল, মাল্টাসহ প্রায় সব রকমের ফলের দামই বেড়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, মালিবাগ ও শান্তিনগরের বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব রকমের ফলের দাম বেড়েছে। এই সময়ে আঙুর, আপেল, মাল্টার কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।এসব বাজারে প্রতি কেজি গালা আপেল বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা। সবুজ আপেল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি, মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা আর লাল আঙুর বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকা।অথচ ১০-১২ দিন আগেও বাজারে গালা আপেল বিক্রি হয়েছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি, সবুজ আপেল বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি, মাল্টা বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টাকা আর লাল আঙুর বিক্রি হয়েছে ৪৫০ টাকা কেজি। বিক্রেতারা জানান, বাজারে এই সময় দাম সামান্য কিছু বাড়লেও হঠাৎ করে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়া অস্বাভাবিক। তাদের অভিযোগ, রাজধানীতে মানুষের জ্বরের প্রকোপ বাড়ার সুযোগে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। শান্তিনগরের ফল বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, জ্বরের প্রধান খাবার এসব বিদেশি ফল। চাহিদা থাকায় দাম বাড়ছে। পাইকারিতে দাম বেশি হওয়ায় খুচরা বাজারেও বেশি দামে ফল বিক্রি করতে হচ্ছে। বিক্রিও তুলনামূলক বেড়েছে। রামপুরার ফল বিক্রেতা মোফাজ্জাল মিয়া বলেন, এখন দেশি ফল বাজারে কমতে শুরু করেছে। আমও শেষের দিকে। তাই বিদেশি ফলের চাহিদা ও দাম দুটোই বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, আমের দামও এখন অনেক বেড়েছে। আম্রপালি প্রায় শেষ। যেগুলো আছে সেগুলো এখন সাইজে ছোট, দামও অনেক বেশি। প্রতি কেজি আম্রপালি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। আশ্বিনা আম বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৯০ টাকা, ঝিনুক জাতের আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি, কাটিমন জাতের আম বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, ফজলি আম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি।বাজারে ফল কিনতে আসা মাহবুবা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, বড় ছেলের দুই দিন ধরে জ্বর। ডাক্তার প্রচুর ফল খেতে বলেছেন। কিন্তু বাজারে ফলের এত দাম। দুই কেজি ফল কিনতেই এক হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। দাম দেখে মনে হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই।পাশেই ফল কিনতে আসা আরেক ক্রেতা সাইফ আহম্মেদ বলেন, জ্বরের রোগীরা ফল হিনতে হিমশিম খাচ্ছে। ২ কেজি আপেল কিনেছি ৯০০ টাকায়, মালটার দামও অনেক বেশি। ১ কেজি মালটা কিনতে হলো ৪৫০ টাকায়। আয়ের সব টাকা ফল কিনতেই শেষ। না কিনেও উপায় নেই।
