রবিউল করিম (ঢাকা) ধামরাই
ঢাকার ধামরাইয়ে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা চেষ্টার পর স্বামী মো. ইয়ামিনকে থানায় ফোন করে পুলিশে ধরা দিয়েছেন। ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের বাটুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে অভিযুক্ত ইয়ামিন বাটুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানায়, ইয়ামিন প্রায়ই তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করত প্রতিদিন। তারই জের ধরে সকালে ইয়ামিন ও তার স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এ সময় তিনি ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে ন। আশপাশের লোকজন আহত তাকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই বিষয়ে আমিনুর বলেন, “আমি সকালে ইয়ামিনের বাড়ির পাশে ক্ষেতে কাজ করছিলাম। এমন সময় চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি তার স্ত্রীর গলা থেকে রক্ত পরছে পরে তাকে ধামরাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই।” এই বিষয়ে স্বামী ইয়ামিন বলেন, “সকালে দুজনের ঝগড়া হয়। আমি তার গলায় ছোরা দিয়ে পুচ দিই। পরে আমি নিজেই থানায় ফোন দিই।” ধামরাই সরকারি হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আহম্মেদুল হক তিতাস বলেন, “দুপুর ১২টার দিকে একজন মহিলা গলাকাটা অবস্থায় হাসপাতালে আসে। আমি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই।” ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “ইয়ামিন নামে এক যুবক মোবাইল ফোনে আমাকে বলে- ‘আমি আমার স্ত্রীকে মার্ডার করেছি।’ পরে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে ইয়ামিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
