ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
চব্বিশের জুলাই-আগষ্ট অভ্যুত্থানে ২৬ জুলাই প্রথম কারফিউ ভেঙে ঢাকার রাজপথে সমাবেশ ও গানের মিছিল স্মরণে ঠাকুরগাঁও-এ গানের মিছিল ও সাংস্কুতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে এ আয়োজন করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঠাকুরগাঁও জেলা সংসদ। উদীচী জেলা কার্যালয় থেকে গানের মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তায় এক সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা দ্রোহের গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন। এসময় জেলা সংসদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি সেতারা বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সহসভাপতি অমল টিক্কু, সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রিজু, সদর উপজেলা সিপিবির সভাপতি চৌধুরী আনোয়ার হোসেন, কলামিস্ট ও সাংস্কৃতিক কর্মী মাসুদ আহমেদ সুবর্ণ প্রমূখ। বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২৬ জুলাই সারাদেশে ইন্টারনেট শাটডাউন-গণগ্রেপ্তার এবং কারফিউ জারির পরে রাজপথে প্রথম এক সাহসী কর্মসূচি পালন করে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের বেনারে ৩১টি সংগঠন। উদীচী শিল্পী-সংগঠকেরা ছিল সেই কর্মসূচির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। উদীচীর দীর্ঘ দিনের লড়াকু কর্মীরা সেইদিন অন্যান্য সংগঠনের সাথে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে কারফিউ ভেঙেছিল। এর মধ্যদিয়ে আন্দোলনের নতুন গতি সঞ্চারিত হয়। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার পাশে এসে দাঁড়ায় শিল্পী-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-মানবাধিকার কর্মী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা। বক্তারা আরো বলেন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার যে নির্বিচারে গন-হত্যা ও সীমাহীন দুর্নীতি করেছে তা আর বিস্মৃত হতে দেওয়া যাবে না। যেমন করে মহান মুক্তিযুদ্ধের তিরিশ লক্ষ্য শহিদের নির্মম গণ-হত্যার দোসরেরা চব্বিশের বিপরিতে একাত্তরকে দাঁড় করানোর পায়তাড়া করছে যা চব্বিশের মূল স্পিরিট কে ভিন্নখাতে নিয়ে যাবার একটি অপচেষ্টা মাত্র। এদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আবারো নতুন কোনো গণতন্ত্র-মানবতা বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিলে রাজপথে থেকে তা প্রতিহত করার আহবান জানান বক্তারা।
