ePaper

সিংগাইরে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা সয়লাব

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ এবং বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। সিংগাইর উপজেলা কৃষিবিদ মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পুরনে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষ রোপন আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যাঁরা নিষিদ্ধ গাছের চারা রোপণ ও বিক্রি করছে তা জনস্বার্থে ধ্বংস করা হবে। উল্লেখ্য, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা বাজারে আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ বিক্রি করছে মালা নার্সারির মালিক মিলন ও একই এলাকার সাথী নার্সারির মালিক আতোয়ার। মালা নার্সারি মালিক মিলন বলেন, কৃষি অফিস থেকে আমাকে ফোন দিয়েছিলো আমি বড় স্যারের সাথে দেখা করেছি। প্রতিটি গাছ নিধনের জন্য আমাকে সরাসরি ভাবে ৪ টাকা করে দাম দিবে। কতো গুলো গাছের দাম দিবে এমন প্রশ্নের জবাবে মিলন বলেন ৫ হাজার গাছের দাম দিবে। আপনার বাগানেতো প্রায় ৯০ হাজার চারা গাছ আছে এমন প্রশ্নের জবাবে মিলন কোন উত্তর দিতে রাজি হননি। সাথী নার্সারির মালিক আতোয়ার বলেন, দক্ষিণ জামশা বাজারে প্রতিদিন ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা বিক্রি করছি। প্রতিটি ইউক্যালিপটাস গাছের চারার দাম ২০ টাকা। অনেক কিছু ম্যানেচ করে এই ব্যবসা বাণিজ্য করে আছি। কোথায় কি দিতে হয় তা আমাদের জানা আছে। মানিকগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, মানিকগঞ্জ জেলার কোথায় কোথায় এই গাছের চারা আছে সব খবর আমাদের জানা নেই। তথ্য সংগ্রহ হয়েছে জরুরী ভিত্তিতে সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ জামশা এলাকায় আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা ধ্বংস করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *