ePaper

গাইবান্ধায় কাজীর বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রির অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত তালাক ও নিকাহ্ রেজিস্ট্রার(কাজী) মো. শামছুল হকের বিরুদ্ধে একের পর এক বাল্যবিবাহ রেজিস্টেরির অভিযোগ উঠেছে। আইনী ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল। জানা গেছে, গত ১১ জুলাই /২০২৫ ইং গাইবান্ধা সদর উপজেলার খোলাহাটি ইউনিয়নের কিশামত বালুয়া মোল্লাবাজার সংলগ্ন রেললাইনের পূর্ব পাশ্ববর্তী মো. আনারুলের কন্যা ও বালুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী মোছা. আফরিন আক্তারের বিবাহ রেজিস্ট্রি করানো হয়। উক্ত বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রিরির সময় সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নিকট অবগত করা হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাসুম হক্কানীকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে পৌছার পূর্বেই সু-চতুর আইন অমান্যকারী কাজী শামছুল বিয়ে রেজিস্ট্রির কাজ সম্পন্ন করে সেখান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন। এলাকাবাসীর জানান, কাজী শামছুল নিজে ও তার ভাইকে পাঠিয়ে উক্ত ইউনিয়নে একের পর এক বাল্যবিবাহ রেজিষ্ট্রেরি করে আসছেন। বিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন লঙ্ঘন করে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্ম নিবন্ধনের বয়স যাচাই-বাছাই না করেই বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন কাজী। এব্যপারে কাজী শামছুল মুঠোফোনে জানান, আমি একাই কি বাল্যবিয়ে পড়াই। অন্যান্য কাজীরাও বাল্য বিয়ে পড়ায়। সঅবিলম্বে উক্ত কাজীর ৬ মাসের বিবাহ রেজিষ্ট্রির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্হা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *