নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্রমিকদের কাজে ফেরার পেছনের কারণ
হবিগঞ্জে ৪০ দিনের কর্মবিরতির পর ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক চা বাগানে ফিরেছেন। বকেয়া মজুরির মধ্যে দুই সপ্তাহের টাকা পরিশোধের পর, মঙ্গলবার থেকে তারা আবার কাজে যোগ দেন। মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার এনটিসি মালিকানাধীন ৬টি বাগান—তেলিপাড়া, জগদীশপুর, চন্ডিছড়া, পাড়কুল, নাসিমাবাদ এবং সাতছড়ি—এখন পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনে ফিরেছে।
বকেয়া মজুরি পরিশোধ
চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল জানান, বাগান মালিকপক্ষ সোমবার শ্রমিকদের দুই সপ্তাহের বকেয়া মজুরি হিসেবে প্রত্যেককে ২,২০০ টাকা পরিশোধ করেছে। তবে এখনো চার সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। শ্রমিকরা আশা করছেন, এই বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করা হবে।
আন্দোলনের সময়ের মজুরি বিতর্ক
চা শ্রমিকরা যে ছয় সপ্তাহ কর্মবিরতিতে ছিলেন, সেই সময়ের মজুরি দেওয়ার ব্যাপারে তারা মালিকপক্ষের বিবেচনা আশা করছেন। তবে এনটিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহমুদ হাসান জানান, আন্দোলনের সময়কালের মজুরি দেওয়ার সামর্থ্য বাগান কর্তৃপক্ষের নেই।
উৎপাদন বন্ধে ক্ষতির পরিমাণ
এনটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৪০ দিনের উৎপাদন বন্ধে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে উৎপাদন পুনরায় শুরু হওয়ায় এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।
পরিস্থিতির উন্নতির আশা
চন্ডিছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি রনজিৎ কর্মকার জানান, দুই সপ্তাহের মজুরি পাওয়ার ফলে শ্রমিকদের পরিবারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তারা দ্রুত বাকি মজুরি পেতে চান এবং নতুন উদ্যমে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশা করছেন।
উপসংহার
চা শ্রমিকদের কাজে ফিরে আসা এবং উৎপাদন শুরুর মাধ্যমে এনটিসি আবার স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। তবে বকেয়া মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের দাবি এখনো রয়ে গেছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান ও মজুরি পরিশোধের মাধ্যমে শ্রমিকদের সম্পূর্ণ স্বস্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
Read our ePaper : https://epaper.dailynabochatona.com/