মোয়াজ্জেম হোসেন,নওগাঁ
সরকার আশে, সরকার যায়, সুমিতা রানী হরিজন (৫০) নিজের অবস্থানেই রয়ে যায়! চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি এমনকি বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন! তিনি বলেন, আমার স্বামী মৃত শ্রী রবি হরিজন ১৫ বছর আগে মারা যান অভাবের সংসারে (৩) সন্তানকে নিয়ে কালো অধ্যায় শুরু হয় খেয়ে না খেয় দিন চলে যায়, বাজার ব্যবস্থার সাথে আয় ব্যয়ের সংকুলান হয় না ভয়াবহ দিন শুরু হয়। ছোট জাতের মানুষ হিসেবে সমাজে অনেক বৈষম্যের শিকার হই, অবশেষে অন্য কোন উপায় না থাকায় জাত কর্ম আজ প্রায় (১৫) বছর যাবত এই মুক্তির বাজার পরিষ্কার করি, অবসরে বাজারের পাবলিক টইলেটে বসে থাকি আগন্তুক কোন পাবলিক প্রাকৃতিক কাজ শেষে নিজ থেকে যা দেয় ৫/১০ টাকা সেটি দিয়েই ৩ সন্তান নিয়ে পরিবার চালায় সারা দিন যা রোজগার করি তা দিয়ে হাট-বাজার ছেলে মেয়ের পোষাক পরিচ্ছদ পড়ালেখার খরচ বাসা ভাড়া সব মিলে নাবিশ্বাস উঠে যায় আমার! অবশেষে তাদের পড়ালেখা বন্ধ করে দেই ছোট বয়সেই গরিবের পড়ালেখার প্রয়োজন নেই, তারা ও অন্যের কাজ কর্ম করতো। ছেলেরা আমি, মেয়েটি সহ অনেক পরিশ্রম করে সমাজের ধনী ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছি। আর কতদিন এভাবে চলবে আমার বয়স হয়েছে তাই সরকারের কাছে আকুল-আবেদন আমাকে একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দিলে ভালো হয়, ভাড়া দেওয়ার টেনশন মুক্ত হয় শেষ জীবন টা অন্তত বাসা ভাড়ার টেনশন থেকে বাঁচি প্রতি মাসে বাসা ভাড়া ৮০০ টাকা দিতে হয় নওগাঁ সদর পৌরসভার শহিদুলের মোড়ে এক বস্তিতে বাস করছি। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইবনুল আবেদীনকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার এ বিষয়ে এখনো কোন প্রকল্প গ্রহণ করেননি, আমাদের কাছে প্রকল্প আসলে তার জন্য আমরা সার্বিক সহযোগিতা করব।
