স্পোর্টস ডেস্ক
২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদিতে এককভাবে আয়োজিত হবে, এবং এই ঘোষণা ফিফার সাধারণ কংগ্রেসে গতকাল নিশ্চিত করা হয়। সৌদি আরব কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই আয়োজক স্বত্ব অর্জন করেছে, যার ফলে আয়োজক দেশ নির্বাচনের প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যায়। ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো ভার্চুয়ালি কংগ্রেসে যুক্ত হয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এই প্রথমবারের মতো সৌদি আরব বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। এর আগে, এশিয়ার কোনো দেশ এককভাবে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করেনি। সৌদি আরবের এই বিজয় পুরোপুরি সৌদি সরকারের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নতি ও অবকাঠামোগত বিনিয়োগের ধারাবাহিকতার প্রতিফলন। তারা বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য আধুনিক ফুটবল স্টেডিয়াম এবং অন্যান্য পর্যটন ও অবকাঠামোগত সুবিধাগুলি তৈরি করেছে, যা বিশ্বব্যাপী ফুটবল ভক্তদের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে, ২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজিত হবে ইউরোপ, আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকার ৬টি দেশে। এই ৬টি দেশ হলো—স্পেন, পর্তুগাল, মরক্কো, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়ে। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে প্রথমে স্পেন, পর্তুগাল এবং মরক্কো একে অপরকে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে ফিফার উদ্যোগে উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়েকে এই যৌথ আয়োজনে যুক্ত করা হয়।
বিশেষত, ২০৩০ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে উরুগুয়েকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কারণ ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে ছিল প্রথম বিশ্বকাপের আয়োজক, যা ফুটবল ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত ছিল। সেই সময়কার বিশ্বকাপের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে, ফিফা চেয়েছিল উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং প্যারাগুয়েকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে। এই তিনটি দেশে শুধু একটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই ম্যাচগুলো শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে, মূল ম্যাচগুলো এবং বাকি সকল খেলা অনুষ্ঠিত হবে ইউরোপের স্পেন-পর্তুগাল এবং আফ্রিকার মরক্কোতে।
২০২৩ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের শতবর্ষ উদযাপন হবে, যেখানে ৬টি দেশ, ৪৮টি দল এবং ১০৪টি মহাকাব্যিক ম্যাচ থাকবে। ইনফান্তিনো বলেন, “বিশ্বকাপের ১০০ বছর উদযাপনের জন্য এই বিশাল আয়োজনটি একটি ঐতিহাসিক সুযোগ, যেখানে ফুটবল আরও বেশি দেশ এবং ভক্তদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে।”
২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ সৌদিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আয়োজক দেশ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায়, কংগ্রেসে উপস্থিত ২১১ জন সদস্য হাততালি দিয়ে সৌদি আরবের পক্ষে সমর্থন জানায়। এই ধরনের সমর্থন ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য সৌদি আরবের প্রস্তুতি এবং ক্রীড়া ব্যবস্থাপনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন।
এতে দেখা যাচ্ছে যে, সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশ তাদের ক্রীড়া পরিকল্পনা ও উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে, যা বিশ্বকাপের আয়োজনের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে।
Share Now
Read more Football News:
ডর্টমুন্ড বনাম বার্সেলোনা: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উত্তেজনাপূর্ণ লড়াই