ইদি আমিন এ্যাপোলো
রাজধানীর রামপুরা, বউ বাজার, তালতলা, হাতিরঝিল ও সিপাহিবাগ এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করেছে রামপুরা আর্মি ক্যাম্প। উদ্ধার হওয়া এসব সামগ্রী শুধু এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগই বাড়াচ্ছে না, বরং এই চক্রের পেছনে কারা রয়েছে, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। সিপাহিবাগ, রামপুরা এলাকায় রামপুরা আর্মি ক্যাম্পের অভিযানে উদ্ধার করা হয় ১৬ কেজি গাঁজা ৬টি চাপাতি ১টি ছুরি এত বিপুল পরিমাণ গাঁজা ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই মাদকচক্রের পেছনে শক্ত মদদ রয়েছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দ্বিতীয় অভিযান: বউ বাজারে ‘ভয়ংকর ভাণ্ডার’ উদ্ধার। রামপুরা আর্মি ক্যাম্প বউ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে যা উদ্ধার করে তা রীতিমতো স্তব্ধ করে দেয় এলাকাবাসীকে। উদ্ধার করা হয়Ñ ১টি .৪৪ ম্যাগনাম পিস্তল; ৩টি ব্ল্যাঙ্ক অ্যামুনিশন; ২টি ডামি পিস্তল; ৩টি চাইনিজ কুড়াল; ২টি ছুরি; ৭টি চাপাতি; ৩টি তলোয়ার; ৬টি রামদা; ১০৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট; এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার প্রমাণ করে যে একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র এ এলাকায় সক্রিয় ছিল। হাতিরঝিল এলাকায় রামপুরা আর্মি ক্যাম্পের আরেকটি অভিযানে উদ্ধার হয় ১টি পিস্তল; ১টি রিভলবার; ৪ রাউন্ড তাজা গুলি। হাতিরঝিলের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ও ঘনচলাচলের এলাকায় এই ধরনের অস্ত্র থাকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
চতুর্থ অভিযান: তালতলা, রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়: ১টি পিস্তল; ৪ রাউন্ড গুলি; ১টি চাইনিজ কুড়াল; ১টি চাপাতি-এই অস্ত্রগুলো স্থানীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পঞ্চম অভিযান: বউ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় ১টি ৯ মিমি পিস্তল; একই এলাকায় কয়েক দিনের ব্যবধানে দুইবার অভিযান, যা এই এলাকা অপরাধীদের জন্য কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে বলছেন, “এত দিন আমরা অনেক কিছু টের পাইনি, কিন্তু সেনাবাহিনীর এই অভিযান চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেÑআমরা কী ভয়ংকর এক পরিবেশে বাস করছিলাম।” একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, “এই অভিযানে বোঝা যাচ্ছে একটি বড় ধরনের অপরাধ সিন্ডিকেট ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অস্ত্র ও মাদকের গুদাম তৈরি করেছিল। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
