ePaper

১২ ফুট উঁচুতে নুরাল পাগলের কবর গোয়ালন্দে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারী কবর স্বাভাবিক না করলে কঠোর আন্দোলন

এস এম মিলন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নিজেকে ইমাম মেহেদী দাবি করা নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের মাটি থেকে প্রায় ১২ ফুট উঁচুতে কবর দেয়া হয়েছে। পবিত্র কাবা শরীফের আদলে তৈরি এ কবরকে ইসলামী শরীয়তের পরিপন্থী দাবি করে তৌহিদী জনতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলা মডেল মসজিদে সংবাদ সম্মেলন করে কবর স্বাভাবিক না করলে এ ঘটনায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন প্রামানিক বলেন, আশির দশকে ভণ্ড নুরাল নিজেকে ইমাম মেহেদী দাবি করে পবিত্র কালেমা, আজান ও ধর্মীয় অনুশাসন বিকৃত করেছিলেন। তার দরবারে নামাজ ও সঠিকভাবে দরুদ পড়া হতো না। আন্দোলনের মুখে ১৯৯৩ সালে মুচলেকা দিয়ে তিনি এলাকা ছাড়লেও পরে আবার দরবারের কার্যক্রম চালু করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মৃত্যুর আগেই নুরাল কাবার আদলে ১২ ফুট উঁচু বেদি নির্মাণ করেন। গত ২৩ আগস্ট তার মৃত্যু হলে ওই বেদির ওপর বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। এমনকি ধারণা করা হচ্ছে, তাকে দক্ষিণমুখী মাথা দিয়ে দাফন করা হয়েছে, যা শরীয়ত বিরোধী। এ ঘটনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। জালাল উদ্দিন প্রামানিক বলেন, উত্তেজনা প্রশমনে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কবর নিচু করা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমাধান না হলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং পরবর্তীতে ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, নুরালের বড় ছেলে নূর তাজ খ্রিষ্টধর্ম প্রচার করছে এবং মুসলমানদের ধর্মান্তরিত করছে যা নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। সংবাদ সম্মেলনে রাজবাড়ী জেলা ইমাম কমিটির সভাপতি মাওলানা মো. ইলিয়াস আলী মোল্লা, কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী খান, সদস্য কে.এ মহিত হিরা, গোয়ালন্দ পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম মণ্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও সাইদুল সরদারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর পর রাতেই দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে নুরাল পাগলকে জানাজা শেষে উঁচু বেদিতে দাফন করা হয়। কাবার আদলে রং করা হলেও আন্দোলনের মুখে পরে সেই রং পরিবর্তন করা হয়, তবে কবর নিচে নামানো হয়নি। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *