হাল যার জমি তার গোবিন্দগঞ্জে নামজারী খারিজ খতিয়ান বাতিলের আবেদন

গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি  

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমির রেকর্ড, দখল থাকা সত্ত্বেও অন্যের নামে নামজারি খারিজ খতিয়ান প্রস্তুুত হওয়ায় ক্ষতির সম্ভাবনায় জমির মালিক। সংশোধনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাররে নামে নামজারি খারিজ খতিয়ান বাতিল সহ নিজ নামে নামজারির আবেদন।  জানা গেছে, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের বড়দহ গ্রামে জে এল নং-২০৮, মৌজাঃ বড়দহ, সি এস খতিয়ান নং-২৩৭, এস এ খতিয়ান নং-১৬৪ ও বি আর এস খতিয়ান নং-১১৫১ মোট ১৭ দাগে ১ একর ৫২ শতক জমি মূল মালিক শহর উল্ল্যার ছেলে হুদা মিয়া ৬২৫ অংশে ৯৫ শতক ও মেয়ে জোবেদা খাতুন ৩৭৫ অংশে ৫৭ শতক জমি অংশসূত্রে মালিক। জোবেদা খাতুন উক্ত সম্পত্তির মধ্য থেকে বিগত ২২/০৯/২০২৪ ইং তারিখে ৯১১৭ নং এবং ২৯/০৯/২০২৪ ইং তারিখে ৯৪৫৭ নং দলিল মূলে ৫ শতক ও ১ শতক জমি মামুনী ওরফে মামুলী বেগম ও মহিদুল ইসলামের নিকট হস্তান্তর করে। যাহার দাগ নং- সাবেক-৪২৩ ও ৪৩৮, ৪৩৯ এবং হাল দাগ ৬৭২ ও ১০১৪ দাগে মোট ৬ শতক জমি অদ্যবদি ভোগ দখল করে আসছে। এমতাবস্থায় উক্ত জমি ভূমি অফিস কর্তৃক বড়দহ গ্রামের আলমগীর কবিরের নামে ২০২৩-২৪ ইং ৭১১২ নং নামজারি মামলা ও খারিজ খতিয়ান নং-১৫৪৯ প্রস্তুত হইয়াছে। উক্ত নামজারি খারিজ খতিয়ানটি বাতিল পূর্বক সংশোধন করে নিজেদের নামে নামজারি করতে গত ৫ নভেম্বর/২০২৪ ইং তারিখে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে আবেদন করেন মহিদুল ইসলাম ও মামুনি। এ বিষয়ে ওই গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে ছাকী মিয়া ও আব্দুল হাকিম  জানান, মামুনী ওরফে মামুলী বেগম ও মহিদুল ইসলাম গরীব লোক, বাড়ী করার জন্য উক্ত জমি ক্রয় থেকে শুরু করে অদ্যবদি ভোগ দখলসহ জমির চারিদিকে উচুঁ করে কলাবাগানসহ বিভিন্ন প্রকার ফলের গাছ লাগিয়েছে। এই জমি কি ভাবে আলমগীর কবিরের নামে খারিজ খতিয়ান হয় ? এ ছাড়াও ওই গ্রামের মৃত কাজেম উদ্দিনের ছেলে আয়তুল শেখ একই কথা বলেন। তারা বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই অন্তে প্রস্তুতকৃত নামজারি খারিজ খতিয়ানটি বাতিল করে প্রকৃত মালিক মামুনী ওরফে মামুলী বেগম ও মহিদুল ইসলামের নামে নামজারি খারিজ খতিয়ান প্রস্তুতের দাবী জানান। এ যেন হাল যার জমি তার। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *