হার্ট অ্যাটাক হৃদরোগের সবচেয়ে গুরুতর রূপ। এটি ঘটে যখন হৃদপিণ্ডের পেশিগুলো পর্যাপ্ত রক্ত বা অক্সিজেন পায় না। এই পরিস্থিতি সাধারণত হৃদপিণ্ডের ধমনিতে চর্বি, কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য পদার্থ জমে ধমনির পথ আটকে যাওয়ার কারণে ঘটে।
কারণ
হার্ট অ্যাটাকের প্রধান কারণ হলো করোনারি ধমনীর ব্লকেজ। এই ব্লকেজের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে:
- কোলেস্টেরল জমে যাওয়া: রক্তনালিতে চর্বি জমে অ্যালথেরোসক্লেরোসিস তৈরি হয়।
- উচ্চ রক্তচাপ: ধমনির ওপর চাপ বৃদ্ধি পায়।
- ডায়াবেটিস: রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল: এগুলো রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
- পরিবারের ইতিহাস: বংশগত কারণ একটি বড় ভূমিকা রাখে।
লক্ষণ
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো প্রাথমিক অবস্থায় চেনা গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হলো:
- বুকে তীব্র ব্যথা যা কাঁধ, হাত বা চোয়ালে ছড়াতে পারে।
- শ্বাসকষ্ট বা বুক ধড়ফড় করা।
- ঠান্ডা ঘাম বা বমি বমি ভাব।
- মাথা ঘোরা বা চেতনা হারানো।
ঝুঁকি কমানোর উপায়
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কিছু কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে:
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: কোলেস্টেরল ও চর্বি কম খাবার গ্রহণ করা।
- নিয়মিত ব্যায়াম: দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্থূলতা রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
- ধূমপান ত্যাগ: ধূমপানের ফলে রক্তনালির ক্ষতি হয়।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্তের গ্লুকোজ পর্যবেক্ষণ করা।
চিকিৎসা
হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য:
- দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স কল করুন।
- অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- চিকিৎসকের পরামর্শে করোনারি বাইপাস বা স্টেন্ট স্থাপন করা হতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক জীবনকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে, তবে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গ্রহণের মাধ্যমে এটির ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
আপনি পড়তে পছন্দ করতে পারে:
লিভার ফ্যাটি: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার
Share Now