সুমন দাশ গুপ্ত পল্লব, হাটহাজারী
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিনের অবাধ ব্যবহার চলছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই এ নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। বিকল্প সামগ্রী ব্যয়বহুল, সচেতনতার অভাব ও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই পলিথিন ব্যবহার করছেন বলে দাবি করেছেন সচেতন মহল। সরকার ১লা নভেম্বর ২০২৪ সাল থেকে দেশের বাজারে পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পর উপজেল প্রশাসন দায়সারা দু-একবার অভিযান পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে তা লক্ষ্য করা যায়নি। এ ব্যাপারে বড় বাজারে সবজি ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, ক্রেতারা বাজারে ব্যাগ নিয়ে আসেন না। পলিথিনে সদাই না দিলে নিতে চান না। এমনকি ২০টাকার সবজি কিনলেও পলিথিন না দিলেও নিতে চাইনা। এ অবস্থায় আমরা বাধ্য হয়ে পলিথিন ব্যবহার করছি। পৌর মুদি ব্যবসায়ী জাফর বলেন, পলিথিন ছাড়া বিক্রি করলে সারা দিন বসে থাকতে হয়। পাশের দোকানদাররা পলিথিন দেয়। বাধ্য হয়ে আমাকেও পলিথিন কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। যদি সরকার বিকল্প কিছু বের করত তাহলে পলিথিন ব্যবহার করতে হত না। একই সমস্যার কথা জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ী মনা তিনি বলেন, পলিথিনের বিকল্প নেই বললেই চলে। তবে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। হাটহাজারী পৌরসভা ব্যবসায়ী সমিতি”র আহবায়ক, এম এ শুক্কুর বলেন, পলিথিন উৎপাদন বন্ধ না করলে এর ব্যবহার বন্ধ হবে না। পাশাপাশি পলিথিনের বিকল্প চটের ব্যাগ/পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ কম দামে বাজারে সরবরাহ করা উচিত। তারপরও প্রশাসন যদি আমাদের সহযোগিতা চাই তাহলে প্রশাসনকে আমরা ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান জানান, পলিথিন নিষিদ্ধ ঘোষণার পর থেকেই বাজারগুলোতে কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়েছি, কিভাবে পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা যায় দ্রুত ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করব। সবাই সচেতন হলে দ্রুত পলিথিন নির্মূল করা সম্ভব হবে। তবে তিনি নিয়মিত অভিযান না চালানোর কথা স্বীকার করে আরো বলেন, শীঘ্রই আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে। পলিথিন নিষিদ্ধকরণে প্রয়োজন কার্যকর পদক্ষেপ, সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সাশ্রয়ী মূল্যে বিকল্প সরবরাহ। তা না হলে পলিথিন ব্যবহারে লাগাম টানা কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।