ePaper

সোনাইমুড়ীতে যুবকের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজান প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবী

ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও মোল্লা পাড়ায় যুবকের মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি মহল একই এলাকার আবদুর রহিম শামীমের বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটসহ নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। তবে পুলিশ বলছে ঘটনার তদন্ত চলছে, দ্রুতই রহস্য উদঘাটন হবে। গতকাল রোববার বিকালে সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, মোল্লা পাড়ার শামছুল হক হাজির নতুন বাড়ির মৃত আবদুল করিমের পুত্র আবদুর রহিম শামীমের সাথে প্রতিবেশী মোস্তফা মেম্বারের নতুন বাড়ির মৃত গোলাম মোস্তফা মেম্বারের পুত্র কামরুল হুদা ও এমকেবি ব্রিক ফিল্ডের মালিক শামসুল আলমের পূর্ব বিরোধ ছিলেন। এর জের ধরে গত ১০ জুন বিকালে শামীম তার জায়গায় বেড়া দিতে গেলে উভয় পক্ষের মারামারি হয়। এ ঘটনায় শামীম কামরুলসহ আরো কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় গত ১৯ জুন রাতে পুলিশ কামরুলকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশ দেখে গ্রেফতার এড়াতে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এর তিন দিন পর ২২ জুন সকালে চৌধুরী বাড়ির পুকুরে তার লাশ ভেসে উঠে। এই মৃত্যুর জন্য শামীমকে দায়ী করে এমকেবি ব্রিক ফিল্ডের মালিক শামসুল আলমের ইন্দনে নিহত কামরুলের লোকজন শামীমের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। ঘটনার পর থেকে ভয়ে এলাকা ছাড়া শামীম ও তার পরিবারের সদস্যরা। এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বাচ্চু মহুরী জানান, পুলিশ যখন আসে আমরা ঘটনাস্থলেই ছিলাম। পুলিশকে দেখেই কামরুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ চলে গেলেও আমরা আর কামরুলকে দেখিনি। এর পর আর কি হয়েছে জানিনা। তিন দিন পর তার লাশ পুকুরে ভেসে উঠে। আমরা ঘটনার সঠিত তদন্ত চাই। কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয়। হয়রানির শিকার আবদুর রহিম শামীমের ভাই নুর আলম শাওন ও বোন কামরুন নাহার বেগম বলেন, রাতে পুলিশ দেখে গ্রেফতার এড়াতে কামরুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর কি ঘটেছিলো কেউ জানে না। তিন দিন পর তার লাশ ভেসে উঠাও রহস্যজনক। এছাড়াও এমকেবি ব্রিক ফিল্ডের মালিক শামসুল আলম আমাদের জায়গা দখল করে তার ফার্মে যাওয়ার জন্য রাস্তা বানিয়েছে। এ নিয়ে তার সাথেও আমাদের বিরোধ আছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে আমাদের বিরুদ্ধে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই। শামীমদের বাড়ি ঘরে হামলার বিষয় অস্বীকারে করে নিহত কামরুলের বোন ফারুল আক্তার বলেন, আমাদের সাথে তাদের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিলো। আমরা ভাই মারা গেছে এটা সত্য। আমরা প্রকৃত ঘটনা জানতে চাই। পুলিশ যেন অপরাধীদের গ্রেফতার করে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে এমকেবি ব্রিক ফিল্ডের মালিক শামসুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। স্থানীয় ইউপি মেম্বার কামাল হোসেন জানান, ঘটনার সময় আমি দোকানে ছিলাম। পুলিশ এসেই প্রথম একজনকে ধরে ফেলে। কামরুলকে ধরার আগেই সে দৌঁড়ে চলে যাওয়ায় পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। এর তিন দিন পর পুকুরে লাশ ভেসে উঠে। তবে রাতে কি ঘটেছিলো তা আমাদের অজানা। এখানে অন্য কোন কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার। আমরা চাই প্রকৃথ ঘটনা উদঘাটনা হোক। সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, সেই রাতে কি হয়েছে তা কেউ বলতে পারছেনা। প্রকৃত রহস্য উৎঘাটনে আমরা তদন্ত করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *