ePaper

সোনাইমুড়ীতে কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

নোয়াখাল প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের মানুষ মামুনের কিশোর গ্যাং বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিতনাই, চাঁদাবাজি এই কিশোর গ্যাং বাহিনীর নিত্য ঘটনা। ইউনিয়নের তুষি গ্রামের মৃত শরিফ উল্যাহ পাটোয়ারীর পুত্র আবদুল গনি মামুন পাটোয়ারী বিগত দিনে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের দোসর ছিলেন। নোয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের বিশ্বস্ত সহচর। কিন্তু ৫ই আগষ্টের পর নিজেকে জাহির করতে ও এলাকায় অধিপত্য বিস্তার করতে তৈরী করে কিশোর গ্যাং। তার এই গ্যাং এখন জয়াগ এলাকার মুর্তিমান আতঙ্ক। মামুনের সেকেন্ড ইন কমান্ড তুষি গ্রামের মৃত শফি উল্যাহর পুত্র শাহিদ হোসেন বাবলু ও বাহার কোট গ্রামের হেদায়েত উল্যাহর পুত্র ইসমাইল হোসেন ভূঁইয়া। তাদের দলে রয়েছে অর্ধশতাধিক কিশোর গ্যাং এর সদস্য। এর মধ্যে অধিকাংশ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী ক্যাডার। বিগত দিনের মতো তারা এখনো প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে। তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতন। সম্প্রতি চাঁদার দাবীতে জয়াগ বাজারে মামুনের কিশোর গ্যাং এর সদস্যার হামলা চালিয়ে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, লুটপাট ও ব্যবসায়ীদেরকে আহত করে। এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ী রুবেলের স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন বাদি হয়ে মামুন পাটোয়ারীসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যার সি.আর নং ১২৯/২০২৫। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসিকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। এদিকে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এলাকাবাসী ও বাজারের ব্যবায়ীরা। আতঙ্কিত ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুল গনি মামুন পাটোয়ারী জানান, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, আমি কোন অপরাধের সাথে জড়িত নই। একটা মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। অভিযুক্ত অন্যান্যদেরকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। মোবাইল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়। নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন আদালতে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি আমাদের কাছে এসেছে, সহসাই আমরা তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবো। মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *