ePaper

সূচকের বড় লাফ, বেড়েছে লেনদেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক            

টানা তিন কার্যদিবস পতনের পর বুধবার (৩০ জুলাই) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেইসঙ্গে ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবস এবং তার আগের সপ্তাহের শেষ চার কার্যদিবস শেয়ারবাজার টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকে। এমন টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। সেইসঙ্গে কমে লেনদেনের গতিও।এমন পরিস্থিতিতে বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সূচকের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকে। এমনকি লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকা বড় হয় এবং সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও বাড়ে।  দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৭টির। আর ৭৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভালো কোম্পানি বা ১০ শতাংশ অথবা তার বেশি লভ্যাংশ দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৯টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৩৭টির দাম কমেছে এবং ৩৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মাঝারি মানের বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেওয়া ৫৮টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে ১১টির দাম কমেছে এবং ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেওয়ার কারণে পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪৬টির শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর তালিকাভুক্ত ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ৪টির দাম কমেছে এবং ১৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ৬৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৪৩ কোটি ১৬ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৭১৭ কোটি ৩২ টাকা। এ হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ২৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *