রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে শুষ্ক মৌসুমেই যমুনা নদীর হঠাৎ ভাঙ্গনে বসতি ও ফসলি জমি বিলীন হচ্ছে। ভাটপিয়ারী গ্রামে নদীর পশ্চিম তীরে ভাঙ্গন ইতোমধ্যে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ নানা স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে। গত এক সপ্তাহে ভাঙ্গনে ফসলি জমির পাশাপাশি ঘরবাড়ি ও গাছপালা নদীগর্ভে চলে গেছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে তৈরি হওয়া ক্যানেলের স্রোত আঘাত করছে পশ্চিম তীরে, যার ফলে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, বর্ষার আগেই এ ভাঙন চলতে থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও ভাটপিয়ারী, শিমলা, পাঁচঠাকুরিসহ আশেপাশের গ্রামগুলো মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে। ভাটপিয়ারীর বাসিন্দা আসলাম উদ্দিন অভিযোগ করেন, শুষ্ক মৌসুমে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তোলার কারণে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। তার মতে, এখন সেই অবৈধ বালু উত্তোলনের মাশুল দিতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। অন্যদিকে কৃষক মহসিন জানান, গত সপ্তাহেই তার ভুট্টা, আখ, বাদাম ও কলাইয়ের জমি নদীতে চলে গেছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পানি আরও বাড়লে ক্ষতির মাত্রাও বাড়বে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোকলেছুর রহমান জানান, ভাঙ্গনরোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভাটপিয়ারী ও কাজিপুরের মেঘাই এলাকায় জিও ব্যাগে বালু ভরে ডাম্পিং করা হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বর্ষার আগেই ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।