রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শীত বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড়ের কদর বাড়ছে। দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তবে সুযোগ বুঝে বিক্রেতারা কাপড়ের দামও বেশি চাইছেন বলে অভিযোগ করছে সব ধরনের ক্রেতারা। ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। অনেকেই শীতজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। যে কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধার রোগীর সংখ্যাই বেশি। উপজেলার চান্দাইকোনা বাজারের পলাশ দত্ত জানান, প্রতিদিন রাত ৮টার আগে শীতের কারণে বাজার ফাঁকা হয়ে যায়। শীতের উষ্ণতার জন্য গরম কাপড় কিনতে শীতবস্ত্রের নতুন ও পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা যায়। বিভিন্ন হাটবাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের খোলা মাঠে বা ফুটপাতে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে। এ কাপড় ক্রয়ের ক্রেতার সংখ্যায় অনেক বেশি। রায়গঞ্জ পৌর এলাকার ধানগড়া বাজারের ফার্নিচার ব্যবসায়ী আল-আমিন সরকার জানান, বর্তমানে গরম কাপড়ের মার্কেটে নারী পুরুষ ও শিশুরা মিলে ভিড় করে পছন্দ মত শীতের কাপড় ক্রয় করছে। ২/৩শ’ থেকে শুরু করে ১২শ’/১৫শ’ এমনি ৪/৫ হাজার টাকা দামের কাপড়ও ক্রয়/বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার নিমগাছী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ইউসুব আলী, আবু সাইদ, উজ্জল হোসেন, আয়নাল হোসেন জানান গত বছরের চেয়ে এবার কাপড় প্রতি ১৫০-২শ’ টাকা দাম বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করা লাগছে। এখনকার মতো শীত থাকলে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে আশা করি। উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ভিপি আয়নুল হক জানান, শীতের কারণে কাজ করতে অসুবিধা হওয়ায় অনেকটা বিপাকে পড়েছেন নিম্ন্ন আয়ের মানুষ। এ অবস্থায় কাজে যোগদান করতে না পেরে অসহায় হয়ে পড়ছেন তারা। তবে সরকারি বেসরকারি দফতর ও রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ আরও বাড়বে বলে আশা করছি। এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। শীতবস্ত্র পাওয়া মাত্রই দ্রুত সময় শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।