রফিকুল ইসলাম,সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার ষ্টেশনে অমর একুশের মহান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধার্থে নির্মিত (মুক্তির সোপান) শহীদ মিনারের মুল বেঁদিতে জুতা পায়ে সমাবেশ করেছে জেলা জামায়াত ইসলামী। জুতা পরিহিত ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় সিরাজগঞ্জে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারীতে ভাষা শহীদদের প্রতি অবমানন করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানাজনে নানা মন্তব্য করছেন অনেকে। মঙ্গলবার বিকেলে যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবীতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শহীদ মিনারের ওপরে (মুক্তির সোপান) অস্থায়ী মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেন নেতারা। ওই সময় শহীদ মিনারে থাকা সকল নেতাকর্মীর পায়ে জুতা ছিল।এ বিষয়ে জেলা বাসদের আহবায়ক নব কুমার কর্মকার বলেন, ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে। কোন সময়ই এই শহীদ মিনারকে অশ্রদ্ধা বা অবমাননা করা ঠিক না। ভাষার মাসে তো আরো নয়। এই শহীদদের প্রতি যাদের চেতনা ও শ্রদ্ধাবোধ কম, তারাই শহীদ মিনারের অবমাননা করে থাকে। জুতা পায়ে জামায়াত নেতারা শহীদ মিনারে সমাবেশ করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা শাহিনুর আলম খান বুধবার বিকেলে বলেন, শহীদ মিনারে (মুক্তির সোপান) অতীতে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে জুতা পায়ে অনেক সভা-সমাবেশ করতে দেখেছি। তখন তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলেনি। অথচ আমাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে নানা কথা বলা হচ্ছে। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এটা তো শহীদ দিবসের কোন প্রোগ্রাম নয়। তাই জুতা পায়ে ওঠা হয়েছিল। জেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা শাহিনুর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ আলী আলম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির এ্যাড. নাজিম উদ্দিন, পৌর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, শ্রমিক কল্যান নেতা জাহিদুল ইসলাম, উল্লাপাড়া জামায়াতের সভাপতি অধ্যাপক শাহজাহান আলী, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আলহাজ উদ্দিন ও পৌর শিবিরের সভাপতি শামীম রেজাসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।