ePaper

সিরাজগঞ্জে মিষ্টি আলু চাষে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের মুখে হাসি

রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি আলু চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এতে অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৩৮০ হেক্টর জমিতে এ লাভজনক মিষ্টি আলু চাষাবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে কাজিপুর, বেলকুচি, কামারখন্দ, শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদ বেশি হয়েছে। খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এবারো এ মিষ্টি আলু চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে কৃষকেরা। এ চাষাবাদ যমুনা ও শাখা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরাঞ্চলেই বেশি হয়ে থাকে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় বাগবাটি ও খোকশাবাড়ি ইউনিয়নে এবার ২৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বাগবাটি ইউনিয়নের মরা ইছামতী নদীর বুক জুরে মিষ্টি আলু চাষে সবুজের দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে। এ নদীর বুকেই প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে মিষ্টি আলু রোপণ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, অগ্রহায়ন মাসে জমিতে মিষ্টি আলুর বীজ রোপণ করা হয় এবং কয়েক মাস পরেই এ ফসল উত্তোলন করা হয়। ধানসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে মিষ্টি আলু চাষে লাভ বেশি। এ চাষাবাদে পরিশ্রম ও খরচ কম লাভ বেশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে জমি থেকে মিষ্টি আলু উত্তোলন করা যায়। এ আলু হাট-বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায়। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এ আলু ভালো দামে ক্রয় করে এবং তারা বিদেশে রপ্তানি করে থাকে প্রতিবছর। এবারো এ আলু চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা রয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, এবারো সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আলু চাষাবাদে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। এ চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শও দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভজনক এ আলু উত্তোলনে খুশি হবে কৃষকেরা। ক্যান্সার প্রতিরোধে এ মিষ্টি আলু খুবই উপকারি। এজন্য দেশের চাহিদার পাশাপাশি বিদেশেও এ আলুর চাহিদা রয়েছে। প্রতিবছর চীন ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশে এ আলু রপ্তারি করা হয়ে থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *