রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে এবারই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে মসলা জাতীয় ফসল জিরা চাষাবাদ শুরু হয়েছে। কামারখন্দ উপজেলার বাজার ভদ্রঘাট গ্রামে ১০ শতক জমিতে মাহবুবুল ইসলাম পলাশ নামে এক কৃষি উদ্যোক্তা এ চাষাবাদ শুরু করেছেন। হরেক রকম বিরল বৃক্ষের সংগ্রাহক হিসাবে তিনি জাতীয় কৃষি পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। এই কৃষি উদ্যোক্তা সখের বশে তার বাড়ির পাশে ১০ শতক জমিতে বারি-১ জাতের জিরা চাষাবাদ করেছেন। উত্তমরুপে জমি চাষাবাদ করে সেখানে কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ মতো প্রায় ৪শ’গ্রাম জিরা বীজ বপন করেছেন। বগুড়ার শিবগঞ্জ থেকে এর বীজ সংগ্রহ করা হয়। বপনের আগে বীজ পরীক্ষায় এর জার্মিনেশন ফলাফল ভাল পাওয়া গেছে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জিরা বীজ বপন করার উত্তম সময়। বপনের ১শ’ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে জিরা আহরণ করা যাবে। ইতোমধ্যে এই জিরা চাষাবাদের জমি দেখতে আশেপাশের কৃষকেরা ছুটে আসছেন। তারাও চাষাবাদের আগ্রহ প্রকাশ করছেন। জিরা চাষী মাহবুবুল ইসলাম পলাশ জানান, আমার প্রায় সাত বিঘা বাড়িতে ৩৪৫ প্রজাতির ৪ হাজার হরেক রকম বৃক্ষের সংগ্রহ রযেছে। ছোট বড় এসব গাছপালায় পুরো বাড়িটি সবুজে ঘেরা। মূলত বিরল বৃক্ষ সংগ্রহ এবং ফসল চাষাবাদে আগ্রহ থেকে এবার নিজের জমিতে জিরা চাষাবাদ করেছি। আশা করছি আগের মতোই ভাল সাফল্য পাবো। জিরার ফলন ভাল পেলে আগামীতে এর চাষাবাদের পরিধি বাড়ানোর পাশাপাশি এলাকার কৃষকদের এই চাষাবাদে সহযোগিতা করে তাদের এগিয়ে নিতে চাই। জিরা চাষাবাদ নিয়ে কাজ করা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.সাইফুল ইসলাম জানান, সিরাজগঞ্জের জিরা চাষী মাহবুবুল ইসলাম পলাশকে বীজ সংগ্রহ থেকে চাষাবাদের সব রকম পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি। শিবগঞ্জের কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জিরা চাষাবাদে বেশ সফলতা পেয়েছেন। সিরাজগঞ্জ-বগুড়ার মাটি একই রকম হওয়ায় আশা করছি ভাল ফলাফল মিলবে। আমাদের দেশে এর চাষাবাদ বাড়ানো গেলে জিরা আমদানি ব্যয় কমানোসহ কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবেন।