রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের পাট চাষিরা পাটজাগ দেওয়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। পাট কাটার ভরা সময়েও উপজেলার খাল, বিল বা নিচুঁ জলাভূমিগুলোতে নেই পাটজাগ দেবার মতো পর্যাপ্ত পানি। ফলে জমি থেকে পাট কেটে অনেক কৃষক যেখানে অল্পবিস্তর পানি আছে সেখানে গাড়ি অথবা কাধে করে পাটগাছগুলো নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে কৃষকের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চরাঞ্চলসহ ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এ মৌসুমে ৪ হাজার দুইশ’ পঞ্চাশ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে তোষা জাতের চাষ হয়েছে ৪ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। মেস্তা ৭৫ এবং দেশিসহ অন্যান্য চাষ হয়েছে ৭৫ হেক্টর জমিতে। এবার কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রণোদনার পাটের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের যেকোন প্রয়োজনে দিয়েছেন সার্বিক পরামর্শ। একইসাথে অনুকূূল আবহাওয়ায় পাটের ভালো ফলন হয়েছে। গাছগুলো অন্যান্যবারের চেয়ে অনেক পুষ্ট হয়েছে বলে একাধিক কৃষক জানিয়েছেন। কিন্তু এবার খালবিল জলাশয়ে পাটের জাগ দেবার মতো পানির অভাবে পাটগাছ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষক। খাসরাজবাড়ীর কৃষক রফাতুল্লাহ জানান, প্রতিবারেই নদীর কোলা, জলাশয়, বা নিচুঁ জমিতে পানি থাকে। সেখানে জাগ দেই। কিন্তু এবার পানি নাই। ফলে এক কিলোমিটার পাটগাছ বয়ে নদীতে নিয়ে যেতে হয়েছে। এতে অনেক খরচ বেড়েছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, অন্যবারের চেয়ে এবার পাটের ভালো ফলন হয়েছে। দামও ভালো। তবে ভারী বৃষ্টি নেই বিধায় জাগ দিতে কৃষকের খরচ বেড়েছে। এ অঞ্চলের মাটিগুলোতে বালির পরিমাণ বেশি থাকায় পানিধারণ ক্ষমতা কমে গেছে বলে তিনি জানান।
