ePaper

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে একটি ব্রিজের অভাবে দড়ি টেনে নৌকায় পারাপার

রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও একটি ব্রিজের অভাবে ১৪ গ্রামের হাজারও মানুষের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। হাট-বাজারসহ অন্যন্যা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নদী পাড়ের জনসাধারণ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ঘুড়কা ও ধানগড়া ইউনিয়নের ওপর ফুলজোড় নদী প্রবাহমান। আর নদীপথ দিয়ে উক্ত দুই ইউনিয়নের হাজারও জনসাধারণ চলাচল করে থাকে। নদীর পূর্বপাড়ে বেগমপুর, দরবস্ত্র, জয়ানপুর, আটঘরিয়া, তেলিজানা, বাশুড়িয়া, বিলচন্ডী, নলছিয়া ও রায়গঞ্জ সদরগ্রাম। নদীর পশ্চিম পাড়ে ঘুড়কা, রয়হাটি দিয়ারপাড়া, নাঙ্গলমোড়া, চকগোবিন্দপুর, দত্তকুশাসহ বেশকিছু গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে। ঘুড়কা বাজার এলাকার পথচারী লিটন, শাহাদত, গৌতম কন্ডু জানান, এই নদীর ওপর ব্রিজ হলে আমাদের চলাচলের সুবিধা হবে। এতে করে রায়গঞ্জ সদরে অবস্থিত থানা, হাসাপাতালে সেবা, চাকরি, হাটবাজারসহ অন্যন্যা সুযোগ সুবিধা পাবো আমরা। ধানগড়া ইউনিয়নের বেগমপুর গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান আলী, আব্দুর রশিদ, লেবু জানান, অনেক বছর আগে দেশ স্বাধীন হলেও এখনও এই ফুলজোড় নদীর এই স্থানে কোন ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। দেশে এক সরকার আশে আরেক সরকার চলেও যায়। তারপরও এই ব্রিজ নির্মাণ হয় না। এদিকে ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় আমাদের চলাচলে খুবই কষ্ট হয়। এদিকে উক্ত স্থানের নৌকার মাঝি আব্দুর রশিদ জানান, এপার ওপারের যাওয়া আসার জন নৌকা ভাড়া জন প্রতি ৫ টাকা করে নিয়ে থাকি। আমার দিনে কোন সম্যসা হয় না তবে রাত হলে কষ্ট করতে হয় জনসাধারণের জন্য। অপরদিকে ঝড় বৃষ্টিতে কষ্ট আরও বেড়ে যায়। তারপরও নৌকা নিয়ে বসে থাকতে হয় তাদের জন্য। রায়গঞ্জ বাজার এলাকার তেলিজানা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক রানা জানান, ঘুড়কা ও ধানগড়া ইউনিয়নের মধ্যেবর্তী-স্থানে ফুলজোড় নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মাণ হলে দুই অঞ্চলের জন-সাধারণের চলাচলে সহায়ক হবে। আর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ অন্যন্যা নাগরিক সুযোগ সুবিধা সহজে পাবে নদী পাড়ের জনসাধারণ। পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন সব শ্রেণির মানুষেরা। সেই সাথে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনৈতির চাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *