ePaper

সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের

সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলার বিষয়ে আলোচনায়।
সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।

সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে। বরগুনা-২ আসনের এই প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। Wikipedia

মামলার বিবরণ

রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শওকত হাচানুর রহমান নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদসহ ৩৫ কোটি ৯৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এদিকে, তাঁর দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া গেছে ১৫ কোটি ২৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৯৭ টাকা।

আয়ের উৎস ও ব্যয়ের হিসাব

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১৯৯৪-৯৫ করবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ করবর্ষ পর্যন্ত শওকতের মোট পারিবারিক ব্যয় ছিল ১৬ কোটি ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৮৪৫ টাকা। বিপরীতে, গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস হিসেবে পাওয়া গেছে মাত্র ১ কোটি ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭০ টাকা। এতে দেখা যায়, তিনি ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৬৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।

শওকতের স্ত্রীর সম্পদ সম্পর্কেও তদন্ত

এ মামলায় শওকতের স্ত্রী রওনক আরার বিরুদ্ধেও ২ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৮২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে। দুদক তাঁকে সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ

দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানান, শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

পূর্ববর্তী অনুসন্ধান

গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে দুদক শওকতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে তার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ মেলে।

প্রভাব ও প্রতিক্রিয়া

এই মামলা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা দেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

দুদকের এই পদক্ষেপ দেশের দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে এই ধরনের অনুসন্ধান ও মামলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শেষ কথা

সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি শুধুমাত্র একটি পদক্ষেপ। তবে এটি দেশের দুর্নীতি দমন প্রক্রিয়ার অগ্রগতির একটি নিদর্শন। এই মামলা শেষ পর্যন্ত কিভাবে প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।

Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *