শেখ হাসান গফুর, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাসে ধাক্কায় ইজিবাইক আরোহী এক শিশু সহ নিহত ৩, গুরুতর আহত-১০ জন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপুর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু মোস্তাকিম (১) খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের গফফার শেখের নাতি। তার মায়ের নাম ফাতেমা খাতুন। আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে মোজাম্মেল সরদার (৩২), চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে রাশেদ আলী রাশেদ আলী(৪০), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২৫), একই উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের গফফার শেখের স্ত্রী নাজমা খাতুন (৪৪), গফফার শেখের মেয়ে শাপলা খাতুন (৩০) ও লাড়ুরী গ্রামের ইব্রাহিম আলী গাজীর ছেলে হযরত আলী গাজী (৪৫)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা খাতুন তার শিশু সন্তান মোস্তাকিমকে নিয়ে বাবা গফফার শেখের সঙ্গে পাইকগাছার বাকা থেকে একটি ইজি বাইকে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথিমধ্য বেলা সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা- আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপুর মোড়ে পৌছালে আশাশুনি থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস পিছন দিক থেকে ইজি বাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইকটি রাস্তার উপর উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়শিশু মোস্তাকিম। গুরুতর আহত হন ইজিবাইকের অপর ৬ যাত্রী এবং আলম সাধুর চালক সহ যাত্রীরা ছিটকে পড়ে মারাত্মক আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা করে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ২ জন মারা গেছে বলে জানা যায়। নিহতদের নাম ঠিকানা তাৎক্ষনিক জানা সম্ভব হয়নি। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।