ePaper

সাতক্ষীরায় তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৬ থানায় অভিযোগ

শেখ হাসান গফুর, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায়-৬জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহত ৬ জনের মধ্যে ৪ জন নারী ও ২ জন পুরুষ রয়েছে। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। আহত ৬ জনের মধ্যে ৪ জন সামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর ২ জন স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। গত ০২ এপ্রিল বুধবার সকাল আনুমানিক ৭ টার সময় কলারোয়া উপজেলার ৬নং সোনাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড রামকৃষ্ণপুর নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, বিবাদীগন পুকুর খননের জন্য মাটি কর্তন করে ডাম্পার ও যানবাহন যোগে বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। বাদীর বাবার বাড়ির গা-ঘেঁষে ডাম্পার ও যানবাহন যোগে মাটি নিয়ে যাওয়ার সময়কালে নিরাপত্তা হীনতার কারণে বিবাদী দ্বয়কে অন্য পথ ব্যবহার করে মাটি নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এতে ঘটে বিপত্তি? বিবাদীরা চরমভাবে ক্ষিপ্ততা পোষণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০২-০৪-২৫ তারিখ সকাল আনুমানিক ০৭ টার সময় অভিযুক্ত (১) মো.নুরুল আমিন (২) জহির হোসেন (৩) মো. মন্টু (৪) মো. লাল্টু (৫) ফন্টু (৬) শুভ ও (৭) বিপুল একযোগে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর পিতা প্রয়াত খোদা বক্সের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে। এ সময় বাদী সহ বাদীর বোন আতরজান (৩৫), ভাইপো মুজাহিদ (১২), স্বামী মো. মেছের আলী (৭০) বোনপোর বউ আছিয়া (৩০) কে সন্ত্রাসী কায়দায় এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে। ১ নং বিবাদীর ইন্ধনে ২ নং বিবাদী- বাদীর বোনপো আবু তাহের কে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম করে, ৩ নং বিবাদী -বাদীর ভাই বৌ মনিরা খাতুনকে শ্লীলতাহানি পূর্বক তার গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন যাহার বাজার মূল্য ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। ৪ নং বিবাদী- বাদী নেকজান খাতুনের বোনজি রেনুকাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে দলাইয়া মুচড়াইয়া বুকের উপর উঠে শ্লীলতাহানি করে। একপর্যায় ভুক্তভোগীর গলায় থাকা ৫ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন বাজার মূল্য ৪০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। অপর একজনের কাছ থেকে কে বা কাহারা ১টি মোবাইল কেড়ে নেয় যাহার আনুমানিক মুল্য ১৯ হাজার টাকা। এদিকে বাদী সহ আহতদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার কালে বিবাদীরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ভুক্তভোগী বাদী নেকজান খাতুন বলেন, কতক সাক্ষীদের সহায়তায় আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আশংকা জনক অবস্থায় গত ২ এপ্রিল বোন পো আবু তাহের, ভাই বৌ মনিরা ও বোনজি রেনুকাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এমতাবস্থায় ওই তিনজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ৩ এপ্রিল সামেক হাসপাতালে রেফার করা হয়। ভুক্তভোগী নেকজান খাতুন বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরবর্তীতে আমি শারীরিক ভাবে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ি। অসংখ্য বার বমি হওয়ার একপর্যায় পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সামেক হাসপাতালে আহত ৪ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা এখন আশংকাজনক। অপরদিকে মারপিটের ঘটনায় আহত আতরজান ও মেছের আলী প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেয় বলে তাদের পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নেকজান খাতুন বাদী হয়ে গত ০২ এপ্রিল কলারোয়া থানায় উল্লেখিত ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয় কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফিন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে ভুক্তভোগী নেকজান খাতুন আইন আদালত সহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *