শেখ হাসান গফুর, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার সরাপপুর গ্রামের সোনালী পারভিন ইভা ও এলজিইডি উপসহকারী কর্মকর্তা শামসুল আলমের দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। শামসুল আলম সিলেট জেলার অফিসে কর্মরত থাকলেও অধিকাংশ সময় সাতক্ষীরায় অবস্থান করে সোনালী পারভিন ও তার মায়ের সঙ্গে একই ভবনের দুই তলায় বসবাস করছেন। জানা গেছে, শামসুল আলম তার স্ত্রী শিল্পী খাতুন এবং দুই সন্তানকে সিলেটে রেখে গেছেন। পাশাপাশি তিনি সোনালী পারভিনকে দুইবার বিয়ে করেছেন এবং তালাক দিয়েছেন, এরপর আবার তৃতীয়বার নিকাহ করেছেন। শিল্পী খাতুন জানিয়েছেন, তার স্বামী সংসারে দায়িত্ব পালন করেন না, দুই সন্তানও নিয়মিত স্কুলে যায় না। বড় মেয়ে অভিযোগ করেন, তার বাবা চাকরিটি পেতে তার পিতামাতার কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে তার জীবন ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছেন। এলজিইডি উপসহকারী কর্মকর্তা শামসুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি বিষয়টি মেনে নেন এবং বলেন, “কেস অনেক, এই কেস নিয়ে লড়াই করতে হবে।” স্থানীয়রা জানান, শামসুল আলম নিয়মিত সিলেট থেকে সাতক্ষীরা আসেন এবং পিটি আই মাঠ সংলগ্ন চারতলা ভবনে সোনালী পারভিনকে ভাড়া রেখেছেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতা কামনা করছেন এলাকাবাসী।
