মো. ফরিদুল ইসলাম (মানিকগঞ্জ) সাটুরিয়া
চাঁদা না দেওয়ায় চুরের অভিযোগে গ্রেফতার কৃত দুই শিক্ষার্থীদের মুক্তির এবং সন্ত্রীদের দ্রত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সাটুরিয়া প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষার্থী আকাশের পিতা ও বিল্লাল হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে বিল্লাল হোসেন বলেন, সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের সাভার এলাকার সফিকুল ইসলাম, উজ্জল মিয়া, মান্নান উদ্দিন, জীবন আহমেদ জয়, নুরুল ইসলাম, মামুন, মাহবুব ওরফে নজরুল ইসলাম এবং মিলনসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজন তারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। উল্লিখিত ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় আমাদের পরিবারের নিকট চাঁদা দাবী করে আসছিল। তাদের বেধে দেওয়া ২৩-০৭-২০২৫ তারিখে বালিয়াটি দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্র লাল মিয়ার পুত্র আলমগীর হোসেন (১২) কে দাদার বাড়ী সাভার বাজার সেলুনের পাশ থেকে এবং আব্দুর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র আকাশ (১৬) কে আমার নিজ বাড়ী থেকে ১ নং বিবাদী সফিকুল ইসলাম এর সারের দোকানের সাটার বন্ধ করে অমানবিক নির্যাতন ও মারধর করলে দুই শিক্ষার্থী মারাত্বক আহত হয়। বিল্লাল হোসেন আরো বলেন, মান্নান প্লাস দিয়ে আকাশের ডান পায়ে মাংস ছিড়ে ফেলে। পরে অন্যান্য আসামীরা গলায় চাপ দিয়ে শ্বাস রোধ করে। চাঁদার টাকা না পাওায় সকাল ৮ টা থেকে বিকাল পর্যন্ত মারধর করতে থাকে। পরে চুরের অপবাদ দিয়ে তাদের সাটুরিয়া থানায় পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা সাটুরিয়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানায় তা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আকাশের মা মোছা. পারুল বেগম, দাদা আলমাস, এলাকাবাসী আলিম, সামছুল হকসহ আও অনেকেই। এতে দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাটুরিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, দুই শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিত্বে আটক করে আদালতে পাঠাই। তাদের বয়স কম হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত কিশোর অপরাধ ও সংশোধনাগারে পাঠিয়েছে।
