মো. ফরিদুল ইসলাম (মানিকগঞ্জ) সাটুরিয়া
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলায় মোবাইলে অনলাইন কেসিনু দিন দিন অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়েছে ছাত্র ও যুব সমাজ। স্কুল, কলেজ, প্রাইভেট বাদ দিয়ে বিভিন্ন দোকানে, মোড়ে, অলিতে গলিতে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে, এই অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে যেখানেই ওয়াইফাই আছে সেখান থেকেই ফ্রি ওয়াইফাই ও ইন্টারনেটের প্যাকেজ কিনে খাওয়া দাওয়া এবং লেখাপড়া বাদ দিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এইসব তরুণেরা। মোবাইলে যেমন ভালো দিক আছে তেমনি খারাপ দিক রয়েছে। করোনা মহামারীর সময়ে স্কুল কলেজ লম্বা সময় বন্ধ থাকায় অনেকেই মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছিল, তাদের মধ্যে তরুনেরাই অন্যতম। এর ফলস্বরূপ হিসাবে পাবজি, ফ্রী ফায়ার, ফেসবুক, টিক টক, আর এখন ইন্টারনেটে অনলাইন জুয়া তাদের ব্যস্ত সময় পার করার মূল মাধ্যম হিসেবে গড়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেম আর অনলাইন জোয়ার দিকে ঝুকে পড়েছে। এছাড়াও এখান থেকে একটা অংশ কিশোর গ্যাং এর দিকে ধাবিত হচ্ছে। এমনকি মোবাইল ডাটা কেনার জন্য বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। আরেকটি কথা বর্তমানে সাটুরিয়ায় নেশা দ্রব্যের সাথে প্রায়ই ৩০% লোক জড়িত, এদেরকে নেশা করায় বাধা দিতে গেলে বিভিন্ন প্রকার হুমকির সম্মুখীন হতে হয় এবং কি গায়ে হাত দিতেও দ্বিধাবোধ করে না। কিছু বললেই আরো বলে তোকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেব তোর কাছে মাল (হেরোইন ইয়াবা) রেখে আসবো, আবার যদি তাদেরকে জনগণ ধরে পুলিশে দিয়ে দেয় সর্বোচ্চ ১৫ দিন পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসে, আবার এলাকায় এসে ঠিক সেই কাজগুলোই করে যা আগে তারা করছিল। তাই অভিভাবকের কাছে সব থেকে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিভাবক, এলাকার মুরুব্বী, শিক্ষক, বড় ভাই কারোর কথায় তারা কর্ণপাত করে না। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের এই অপকর্ম। বর্তমানে এমন পর্যায়ে চলে গেছে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না আর ফিরিয়ে আনতে গেলে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে মানুষকে। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, সাটুরিয়ার বেশিরভাগ মানুষ অনলাইন জুয়া আর ফ্রী ফায়ার গেম খেলায় আসক্ত হয়ে গেছে। আমি স্থানগুলোর নাম প্রকাশ করলাম না তবুও বলি অনেক অনেক স্থানে ফ্রি ওয়াই ফাইতে তারা বসে ব্যস্ত সময় পার করে। এমনকি গেম খেলা মুহূর্তে স্কুলে যাওয়া ছাত্রীদের কে অনেকেই ইভটিজিং করে থাকে। এলাকার মেয়েদের কাছে জানা যায় তারা বলেছেন ছেলেরা যখন গেম খেলার সময় ধর ধর মার মার এই শব্দগুলো উচ্চারণ করে এবং জোরে জোরে হাসাহাসি করে আমরা নিজেকে নিরাপত্তাহীনতা বোধ মনে করি শুধু তাই নয় বিভিন্ন ভাষায় কথাবার্তা বলতে থাকে। তাদের কর্মকান্ড দেখে মনে হয় না ভবিষ্যতে এসব তরুণেরা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
