শেখ হাসান গফুর, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও নিগৃহীত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার ১২ টায় সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সামনে সাতক্ষীরার কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মারুফ আহমেদ খান শামিম, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টি ফোরের জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনি, কালবেলার জেলা প্রতিনিধি গাজী ফরহাদ, আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মো. ইব্রাহিম খলিল, খবর বাংলাদেশ পত্রিকার শেখ রেজাউল ইসলাম বাবলু, যশোর বার্তা পত্রিকার সহ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজাহিদ, ঢাকার ডাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি তৌফিকুজ্জামান লিটু, ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছামাদ, দক্ষিণের মশাল পত্রিকার প্রতিনিধি এম, ইদ্রিস আলী, মানবাধিকার প্রতিদিন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, প্রজন্ম একাত্তরের জেলা প্রতিনিধি সাইফুল আজম খান, নবচেতনা প্রত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হাসান গফুর, রাজধানী টিভির জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশের আলো পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শাহেদ, দৈনিক চিত্র পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম, হৃদয় বার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আব্দুস সালাম, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান মনি, কামাল হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার রুস্তম আলী, মিলন কুমার রায়, এনপিএস সাতক্ষীরা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম, সাতক্ষীরা সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার লাল্টু হোসেন প্রমুখ। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর দৈনিক আমাদের কন্ঠ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আক্তারুল ইসলাম, স্থানীয় পত্রিকা সাতক্ষীরা সকালের স্টাফ রিপোর্টার আতাউর রহমান তালা উপজেলার ঘোনা ইসলামকাটী ইউনিয়ন পরিষদে ছেলে ও মেয়ের জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করার নিমিত্তে সকাল ১২ টার সময় পৌছলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসী রমজান সহ তার বাহিনী কর্তৃক হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রথমে আক্তারুল ইসলামের কপালে উপুর্যপুরি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় সাংবাদিক আতাউর রহমান এগিয়ে আসলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত ফুলা জখম করে। একপর্যায় স্থানীয়রা আহত দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আক্তারুল ইসলামের কপালে ৬ টি সেলাই দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে আক্তারুল ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পানজা লড়ছে। এঘটনায় গত ২০ ডিসেম্বর তালা থানায় এফ, আই, আর মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী আক্তারুল ইসলাম যাহার মামলা নং ০৮। অভিযোগ উঠেছে, চাঞ্চল্যকর এঘটনার ৪৮ ঘন্টা পার হলেও সন্ত্রাসী রমজান সহ তার সহযোগীদেরকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়নি। এর আগে গত বুধবার ১৮ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল কে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ কর্তৃক অফিসে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এদিকে গত ২১ ডিসেম্বর সকাল ১২ টায় সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে সাংবাদিকরা পুলিশ প্রশাসনকে অবিলম্বে সন্ত্রাসী রমজান ও তার সহযোগীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আটকের আল্টিমেটাম দেন। এসময় সন্ত্রাসী রমজান কে আটক করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসুচি দেওয়ার ঘোষণা প্রদান করেন সাতক্ষীরার কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ কর্তৃক সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল কে নিগৃহীত করায় ২১ ডিসেম্বর শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে সাংবাদিকরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।