মো.তাসলিম উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সরাইল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় সরাইলে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশত ইটভাটা। প্রতি বছরের মতো এবারও এসব ইটভাটায় তৈরি হচ্ছে লাখ লাখ ইট। ইট তৈরিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে মাটি। ইটভাটার এসব মাটি আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে রেজিস্ট্রেশনবিহীন মহেন্দ্র ট্রাক্টর। আর মাটিবাহী এসব মহেন্দ্র ট্রাক্টর চালাচ্ছে সরাইল উপজেলার শিশু-কিশোরেরা। সম্প্রতি সরেজমিনে সরাইল নাসিরনগর সংযোগ সড়কের দুই পাশে দেখা মেলে এসব ইটভাটার। উপজেলার শাহবাজপুর, শাহজাদপুর, কালিগচ্ছ, চুন্টা গড়ে উঠেছে বেশ কিছু ইটভাটা। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাক্টরে করে ইটাভাটায় মাটি সরবরাহের কাজে ব্যস্ত থাকে চালকেরা। এসব চালকের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর। যাদের বয়স মাত্র ১১ থেকে ১৬ বছর। মাটিভর্তি এসব ট্রাক্টর যত্রতত্র দুর্ঘটনাও ঘটাছে। ট্রাক্টরগুলোর বডির তুলনায় সামনের অংশে চালকের বসার স্থানটি হালকা ও কম সুরক্ষিত হওয়ায় দুর্ঘটনার সময় চালকদেরই প্রাণহানির সম্ভাবনা বেশি। অভাব-অনটনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ এসব ট্রাক্টর চালানোর পেশায় জড়িয়ে পড়ছে এলাকার শিশু-কিশোরেরা। মোটরসাইকেলসহ অবৈধ যেকোনো যানবাহনের ওপর পুলিশের কড়া নজর থাকলেও রেজিস্ট্রেশন বিহীন মাহেন্দ্র ট্রাক্টর পার পেয়ে যাচ্ছে অনায়াসে। গতকাল কালিকচ্ছ বাজার এলাকার মাহেন্দ্র ট্রাক্টর চালক হোসেন (১৩) সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিনিধি তিনি জানায়, পারিবারের অভাব- অনটনের কারণেই সে দুই বছর আগে মাহেন্দ্র চালকের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করে। এখন সে নিজেই পুরোদমে মহেন্দ্র চালক হয়ে গেছেন। সরাইলল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসান জানান, সরাইল এলাকায় শিশু-কিশোরেরা অবৈধ মহেন্দ্র চালানোর কাজে জড়িত রয়েছে। যে কারণে যত্রতত্র দুর্ঘটনাও ঘটছে। গাড়িগুলোর কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। এসব অবৈধ গাড়িগুলো রাস্তাঘাটে পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে সরাইল থানা পুলিশ যথেষ্ট সর্তক রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।