মো. তাসলিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধির নদী ভাঙ্গনে উপজেলা পানিশ্বর এলাকা নৌকায় যোগে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ইউএনও। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইনের সঙ্গে ছিলেন, সরাইল উপজেলা পরিষদ অপঃ ভাইস চেয়ারম্যান মো. হানিফ আহমেদ সবুজ ও সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার। এসময় তারা উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামে ভাঙন দেখে তা রোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্থানীয়দের আশ্বাস দেন। সম্প্রতি পানিশ্বর এলাকার গ্রামের নদী ভাঙন এলাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন ইউএনও মো. মোশারফ হোসাইন। নদী ভাঙনরোধে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় লোকজনের তথ্যমতে, কিছুদিন ধরে নদী ভাঙন অব্যাহত আছে। কয়েক দিনে তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। অনেক পরিবারের বসতবাড়ি গ্রাস করেছে গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেক দিন যাবত নদির ভাঙনের শিকার হয়েছে অনেকে। অনেক পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছেন। অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় বসতি গড়েছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি। স্থায়ী কোন পদক্ষেপ না নিলে কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। সরাইল উপজেলা পরিষদ অপ. ভাইস চেয়ারম্যান মো. হানিফ আহমেদ সবুজ বলেন, নদীভাঙনের খবর পেয়ে সরাইলের ইউএনও ভাঙন এলাকা পরিদর্শনের সময় নদীভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জোরালোভাবে জানিয়েছি। আশা করি, তাঁরা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মেঘনা নদীর পানিশ্বর এলাকায় জিও ব্যাক কাজের অনুমোদন করা হয়েছে, খুব দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে। তিনি আরো বলেন, মেঘনা নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন হলেই স্থায়ী কাজ শুরু হবে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মোশারফ হোসাইন মেঘনা নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সরেজমিন ভাঙন এলাকা পরির্দশন করে ইউএনও এ প্রতিবেদককে বলেন, মেঘনা নদী ভাঙনের শিকার আমরা বহুদিন ধরে। পানিশ্বর ইউনিয়নের গ্রামটি অসময়ে নদী ভাঙনের অনেক বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নদী ভাঙনের সংবাদ পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে দ্রুতভাবে জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা হয়েছে। আর যাতে নদী ভাঙনের শিকার না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মানবিক দিক বিবেচনায় নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে সার্মথ্যবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ইউএনও।