সরাইলে কোরবানি হাটে বেড়েছে পশুর আমদানি

মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

কোরবানি ঈদের বাকি প্রায় এক সপ্তাহ। এর মধ্যেই জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির হাটগুলো। বেড়েছে গরু, ছাগলসহ কোরবানি পশুর আমদানি। তবে, বেচাকেনা কম। ক্রেতারা বলছেন, পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় চলতি বছর পশুর দাম বেশি। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দামের কারণে কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে কোরবানির পশু। উপজেলার হাটবাজার ও খামারে কোরবানির গরু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে, তুলনামূলক কম। ঈদের শেষ সময়ে পুরোদমে শুরু হবে বেচাকেনা। প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষ্যে উপজেলার ছোটবড় খামারিরা কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন প্রায় সাড়ে ২২হাজার বিভিন্ন জাতের পশু। সরাইল উপজেলা বিভিন্ন খামার ঘুরে খামারির মালিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আমাদের খামারে কোরবানির জন্য সব দেশি প্রজাতির গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা হাটে হাটে ঘুরে পশু কিনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না, এমন ক্রেতা বেশি আসছেন। খামারে ঘুরে পশু পছন্দ হলেই বুকিং দিয়ে রাখছেন তারা।

সরাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মনছুর আহমেদ বলেন, এই বছর কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে পর্যাপ্ত পরিমাণে পশু সরাইলে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা বিভিন্ন খামারে গিয়ে খামারিদেরসহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, তাছাড়াও সরকারি ইজারাকৃত পশুর হাট গুলোতে আমাদের মোবাইল ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধায়ন করবেন। সুস্থ পশু চেনা এবং কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের সহায়তা করবেন। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত আরও পশু থাকবে বলে আশাকরি। গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার বড্ডাপাড়া হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে কোরবানিযোগ্য পশুর ব্যাপক আমদানি হয়েছে। বেচাকেনা হচ্ছে কম। হাটে ছাগল নিয়ে আসা আমজাদ জানান, কোরবানির হাট পরিপূর্ণ জমে উঠেছে। তখন দূরদূরান্ত থেকে ব্যাপারীরা গরু ছাগল নিয়ে আসবেন। বর্তমান হাটে যে গরু ছাগলও মহিষ আমদানি শুরু হয়েছে তাস্থানীয়ভাবে লালনপালন করা। হাটে আসা ক্রেতা কাইয়ুম হোসেন জানান, ১৫ কেজির মতো মাংস হবে, এমন খাসি ১৬/১৭হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। তবে গরু মহিষ বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ উঠেছে। দাম মোটামুটি সাধ্যের ভিতর। এই বাজারে গরু মহিষ বিক্রি হয়েছে বেশি। এদিকে সরাইল উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় মাঠে অস্থায়ী গরুর হাট বাজার জমতে দেখা যায়। ক্রেতা বিক্রেতারা খাজনা বেশী নেওয়ার অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন জানান, কোনো ভাবেই সরকার নির্ধারিত রেটের চেয়ে অতিরিক্ত হারে খাজনা আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে প্রমাণসহ কোনো অভিযোগ পেলে জরিমানাসহ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে। সরাইল উপজেলা এক খামারি একটি গরু দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। অনেকেই সরাসরি খামারীদের বাড়ি থেকে কোরবানি পশু পছন্দ মতে কিনে রাখছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *