সবজির দাম কিছুটা কম, বাজারে নেই ক্রেতা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

কোরবানীর ঈদের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অফিস- আদালত বন্ধ। রাজধানীতে ফিরে আসেনি নাড়ীর টানে গ্রামে যাওয়া অধিকাংশ মানুষ। এ কারণে সবজি বাজারে নেই মানুষের তেমন আনা গোনা। সবজি দোকানীরা দোকান সাজিয়ে বসে আছেন। অধিকাংশ সবজির দাম ঈদের আগের তুলনায় কিছুটা কম।কিন্তু সবজি দোকানগুলোতে নেই ক্রেতাদের ভিড়।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে রাজধানীর রামপুরা, বনশ্রী ও মেরাদিয়ার কাচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বনশ্রীর সবজি বিক্রেতা মোস্তাক আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সবজির দোকান সাজিয়ে বসে আছি। কিন্তু কাস্টমার নেই। মানুষ তো ঢাকায় এখনও আসেনি। হোটেল-রেস্তোরাও অধিকাংশ বন্ধ এ কারণে সবজির বেচা-কেনাও কম।

মেরাদিয়ার কাচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের অনেক সবজি বিক্রেতা এখনও তাদের দোকান খোলেনি। ঈদ করতে তারাও গ্রামের বাড়িতে গেছেন। অনেকেই এখনও গ্রামে আছেন।

এই বাজারের সবজি বিক্রেতা সাকিল বলেন, বেগুনসহ কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে মানুষ ঢাকায় ফিরে এলে দাম আবার বাড়বে।

বনশ্রীর কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন তারিকুল ইসলাম। তিনি একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, গতকাল ফ্যামিলিসহ ঢাকায় এসেছি। তাই সবজি কিনতে আসা। সবজির দাম কিছুটা কম হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি।

সবজি বিক্রেতারা বলেন, ঈদের আগে শসা, গাজর, টমেটো ও লেবুর দাম বেড়েছিল। সালাদ তৈরির উপকরণ হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা ছিল অনেক বেশি। তবে ঈদের দিন পার হতেই ধীরে ধীরে সেই দাম কমতে শুরু করেছে।

বাজার প্রতি কেজি হাইব্রিড জাতের শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা ও দেশি শসা ৭০-৮০ টাকায়। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি গাজর  ৮০  টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না গাজরের দাম বেশি। আর ভাল টমেটো ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০-৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যদিকে, পটল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। কাকরোল, বরবটি, কচুর লতি, উস্তা, বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।কচু মুখি ১০০ টাকা কেজি,পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হছে। পেয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *