মো.আফজল হোসেইন, শ্রীমঙ্গল
শ্রীমঙ্গলের ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি ভানুগাছ রোড। সড়কটি সওজের হলেও ইউটিলিটি সংযোগ স্থানটি শ্রীমঙ্গল পৌরসভার। কিন্তু এই সড়কের দু’পাশে ইউটিলিটি সংযোগ স্থানে স্ল্যাব ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই গর্তগুলি সড়ক চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়াচ্ছে। স্থানীয়, যাত্রী ও চালকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলছে কিন্তু শ্রীমঙ্গল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। গতকাল বুধবার সরজমিনে দেখা যায় ইউটিলিটি সংযোগ স্থানটির উপরের স্ল্যাব ভেঙে তলিয়ে গেছে এবং গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছে এই গর্তটি। শীত মৌসুমে শ্রীমঙ্গলে ব্যাপক পর্যটকদের আগমন ঘটে। শ্রীমঙ্গলের দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার প্রধান সড়ক ভানুগাছ সড়কটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভানুগাছ সড়কের এক ব্যবসায়ী বলেন, এই গর্তগুলো এত বড় যে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও, এই গর্তগুলোতে পানি জমে থাকায় মশার উৎপত্তি হচ্ছে এবং এলাকায় ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। পৌরসভার লোকেরা প্রায় এই সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করলেও স্ল্যাব বসাতে তাদের কোন অগ্রগতি নেই। সড়কে ইউটিলিটি সংযোগটি মূলত শ্রীমঙ্গল পৌরসভার। অটোরিকশা চালক রহমান বলেন, রাতের বেলায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা খুবই বিপজ্জনক। কারণ গর্তগুলো আলোয় আচ্ছাদিত না। স্থানীয় গাড়ি চালকেরা বলেন, এই গর্তগুলির কারণে গর্তে চাকা পরে গিয়ে গাড়ি আটকে যায়। ফলে ভোগান্তি পড়তে হয় আমাদের। এই বিষয়ে শ্রীমঙ্গল পৌরসভায় গিয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ইউটিলিটি সংযোগ স্থানের স্ল্যাব সংস্কারের দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ বিভাগের। ওনাকে বললাম সড়কটি সওজের তা ঠিক তবে ইউটিলিটি সংযোগটি কার তখন তিনি উত্তরে বলেন এখনো বরাদ্দ আসেনি বরাদ্দ আসলে স্ল্যাব বসানো হবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, পৌরসভার এই আশ্বাস কতটা সত্য তা সময়ই বলবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ভানুগাছ সড়কের এই সমস্যাটি আমাদের নজরে আছে। আমরা ইতোমধ্যেই পৌরসভা ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য কাজ শুরু করেছি। আশা করি খুব শীঘ্রই এই গর্তটি পূরণ করা হবে এবং সড়কটি আগের মতো চালু হয়ে যাবে।