শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে নির্মাণাধীন একটি কারখানায় নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, ম্যাক হ্যাচারি-২ নামের একটি কারখানার নির্মান সামগ্রী সরবরাহ করার সময় বরমী ইউনিয়নের শিমুলতলী মোড়ে সকাল থেকে ৪/৫ ঘন্টা ঢালাইয়ের গাড়ি বাঁধা সৃষ্টি করাসহ মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন রনি আহম্মেদ। রনি আহম্মেদ শ্রীপুর উজেলার বরমী ইউনিয়নের গিলাশ্বর গ্রামের রিপন মিয়ার হেলে। সে একজন পোন্ট্রি ব্যবসায়ী। রনি আহম্মদ জানান, মোটরসাইকেল যোগে পোল্ট্রি মুরগীর জন্য খাবার কিনতে যাওয়ার সময় শ্রীপুর-বরমী সড়কের শিমুলতলী মাড়ে পৌছলে স্থানীয় নেহালিয়া গ্রামের সামসুল হকের ছেলে সামাউন (২৫), শামীম (৩৫), সাইদুর(১৮) এবং মমিনুল্লাহ (৩৫) সহ তাদের ৩০/৪০জন সহযোগী তার পথরোধ করে। এ সময় তারা আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা পিস্তল ঠেকিয়ে আমার সাথে থাকা মুরগীর খাবার কেনার জন্য নগদ ৯৩ হাজার ৫শ টাকা ছিনিয়ে নেয়। কৌশলে আমি দৌড়ে চলে আসলে আমার ব্যবহৃত মটরসাইকেলটি ভাংচুর করে নিয়ে যায়। প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার জন্য অভিযুক্তরা একইদিন বিকেলে শিমুলতলী এলাকায় ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। মিথ্যা তথ্যে দিয়ে স্থানীয় নির্মাণাধীন কারখানায় নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাজানো অভিযোগ দায়ের করে। তিনি আরো জানান, নির্মাণাধীন কারখানা কর্তৃপক্ষ সামাউন ও তার সহযোগীদেরকে কারখানায় নির্মাণ সামগ্রী দিতে নিষেধ করায় এবং তাকে দেওয়া কার্যাদেশ বাতিল করায় অপর পক্ষকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা তথ্য দিয় বিভ্রান্তি করে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। শিমুলতলী বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানিয়রা জানান, এখানে ঘটনার দিন কিছু লোক জড়ো হয়েছিলো, গুলির কোন ঘটনা তাদের জানা নেই। কোনো গুলির শব্দ তারা শুনতে পায়নি। এ ব্যাপারে সামাউন জানান, ঘটনার দিন আমি শিমুলতলী এলাকায় অবস্থান করছিলাম। আমি কারখানায় নির্মান সামগ্রী সরবারহ করছিলাম কিছুদিন আগে তারা আমার ইটের গাড়ি আটক করে নিয়ে গিয়েছিলো। আমি পুলিশে দিয়ে সেটা উদ্ধার করি। দুদিন পর তারা লোকজন নিয়ে আমার উপর হামলা করে। সর্বশেষ শিমুলতলী এলাকায় এসে তারা গুলি করে ত্রাসের সৃষ্টি করে। পুলিশ গুলির খোশা উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, শিমুলতলীর ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দুটি অভিযোগই তদন্তধীন রয়েছে। তদন্তেরপর প্রকৃত ঘটনা কি তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।