ePaper

শ্যামনগরে উপবৃত্তির অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগ  তথ্য সংগ্রকালে সাংবাদিকদের হেনস্তা

শেখ হাসান গফুর, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের চালিতাঘাটা বাজারে অবস্থিত ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংক মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ-এর মালিক মো. ওলিউল্লা গাজির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদানকালে অতিরিক্ত অর্থ আদায় এবং তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও শারীরিক লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দৈনিক মানবকন্ঠ ও দৈনিক সাতনদী পতিত্রকার শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক জিয়াউর রহমানের মেয়ে সিরাজপুর স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার ডাচ্ বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে সরকারিভাবে পাঠানো উপবৃত্তির টাকা জমা হয়। সেই টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে সাংবাদিক জিয়াউর রহমান উক্ত এজেন্ট ব্যাংকে গেলে ৩০৫০ টাকার একটি উত্তোলন ল্সিপ ধরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাকে ৩০০০ টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত কাটা ৫০ টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এজেন্ট মালিক মো. ওলিউল্লা গাজি ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে বলেন, “আমি কি জমি বিক্রি করে প্রতিষ্ঠান খুলেছি? এই অ্যাকাউন্ট আমি খুলি নাই, তাই টাকা কেটে নিয়েছি।” জবাবে সাংবাদিক জিয়াউর রহমান যখন টাকা নেওয়ার বৈধতার প্রশ্ন তোলেন, তখন ওলিউল্লা গাজি স্পষ্টভাবে বলেন, “আমার কোনো বৈধতা নেই, তবুও আমি সকলের নিকট থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে কেটে নিচ্ছি।” এ ঘটনায় সাংবাদিক জিয়াউর রহমান সহপাঠী সাংবাদিকদের অবহিত করলে, শ্যামনগর উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইলে এজেন্ট মালিক তাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করেন। সাংবাদিকরা অভিযোগের বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, “তোদের এত পাওয়ার দিয়েছে কে? কে পাঠিয়েছে তোদের?” এরপর তিনি উত্তেজিত হয়ে এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মতো একটি জাতীয় ব্যাংকের এজেন্ট হয়ে গ্রাহকের টাকা কেটে নেওয়া এবং সাংবাদিকদের ওপর এমন আচরণ শুধু দুঃখজনকই নয়, এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই অভিযুক্ত ওলিউল্লা গাজিকে দ্রত আইনের আওতায় এনে তার বির“দ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে তার এজেন্ট লাইসেন্স বাতিল করে ভবিষ্যতে যাতে কোনো গ্রাহক এমন হয়রানির শিকার না হন, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সাথে সাথে সাংবাদিকরা শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে সাথে সাথে অবহিত করেন। এবং তারা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য সাংবাদিকদের জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *