ePaper

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার নির্দেশনা এখনও পায়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার নির্দেশনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়নি, জানিয়েছেন মুখপাত্র তৌফিক হাসান।
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার নির্দেশনা এখনও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়নি, তবে সরকার আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপের অপেক্ষায়।

ঢাকা, ১৪ নভেম্বর: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনার নির্দেশনা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়নি, জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতিক অনুবিভাগের মহাপরিচালক তৌফিক হাসান। আজ দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই তথ্য জানান।

তৌফিক হাসান বলেন, “এ বিষয়টি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। এখনও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও নির্দেশনা আসেনি। যদি নির্দেশনা আসে, তবে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেব।” তিনি আরও জানান, “এই পরিস্থিতিতে আমরা এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য বা নির্দেশনা পাইনি, শুধু গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানছি।”

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৭ নভেম্বর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। ট্রাইব্যুনাল তাকে আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে। এ সময়, ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় ইন্টারপোলের কাছে রেড অ্যালার্ট জারি করার জন্য অনুরোধ করেছে, যাতে তাকে আন্তর্জাতিক স্তরে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

ব্রিফিংয়ে তৌফিক হাসান আরও বলেন, “শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত থেকে তাকে ফেরত আনার জন্য কোন সরকারি উদ্যোগ এখনও নেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল।” তিনি জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পায়নি, তবে নির্দেশনা পেলে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

এছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের ভারতে পালিয়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তৌফিক হাসান বলেন, “এ ধরনের তথ্য আমাদের কাছে নেই। মন্ত্রণালয় যা জানে, তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানছে।”

পরবর্তী সময়ে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই অনুযায়ী কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা করা হয়নি এবং বর্তমান পরিস্থিতি গভীর রাজনৈতিক আলোচনার দাবি রাখে।

এদিকে, সারা দেশে বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনার মধ্যে রয়েছে এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরবর্তী সময়ে সরকার এই বিষয়টি নিয়ে নতুন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *