ePaper

শীত আর কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে সাতক্ষীরা

রবিউল ইসলাম (সাতক্ষীরা) শ্যামনগর

শীত আর কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরা। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না। এতে করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। কোন উপায় না পেয়ে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষজন আগুন করে ঠান্ডা নিবারণ করছে। গতকাল শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। এদিকে গতকাল তাপমাত্রা ছিলো ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তবে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার রহমান জানায় তাপমাত্রা আরও কমবে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে জেলার অধিকাংশ এলাকায় শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জেলর উপকূলীয় গাবুরা ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, তীব্র শীত পড়ছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে মানুষ। সরকারিভাবে শীতবস্ত্রের দাবি করেন বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব জায়গায় হঠাৎ করে ব্যাপক ঠান্ডার প্রকোপ বড়েছে। সরেজমিনে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলের শ্যামনগরে দেখা যায়. ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে ঠান্ডা বাতাস। শীতের হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে উপকুলবাসি। ভোর থেকেই দেখা মেলেনি সূর্যের। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। জানা যায়, গত বৃস্থপতিবার মধ্যরাত থেকেই উপকুলসহ জেলার অধিকাংশ জায়গা ঢেকে গেছে ঘন কুয়াশা। আর তীব্র শীতে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। এতে করে জীবন ও জীবিকার জন্য বাইরে বাহির হতে না পারায় শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। শনিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে রাস্তা ঘাট হাট বাজারে মানুষের উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি। জেলার শ্যামনগর উপকূলবর্তী কথা হয় নীলডুমুর গ্রামের ভ্যানচালক মো. আব্দুর রহিমের সাথে তিনি বলেন, ভ্যান নিয়ে রাস্তায় এসেছি এখনো ভাড়া পায়নি। নীলডুমুর বাজারের চা বিক্রেতা সোহেল হোসেন বলেন, ভোরে দোকান খুলেছি ঠান্ডায় লোকজন আসিতেছে না। নীলডুমুর খেয়াঘাটের মাঝি সিদ্দিকুর রহমান জানান, সকাল থেকে লোকজন খেয়া পারাপার হচ্ছে খুব কম। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা পড়েছে রোদ্র বের হয়নি। নদীর পাশে প্রচন্ড ঠান্ডা তাছাড়া এপার হতে ওপার দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বোট মাঝি মোবারক হোসেন বলেন সকাল থেকে একটি টিপ পেয়েছি কুয়াশ বোট চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সে সাথে মানুষ শীতে কম বের হচ্ছে, হঠাৎ শীত পড়ার কারনে। নীলডুমুর বাজারে দোকান ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবং শীত একটু জেগে বসেছে সে জন্য কাস্টমার আগামী দিন ছাড়া আজ কম, তবে তিনি আরো বলেন শনিবার হওয়ায় নিল ডুমুর পর্যটন এলাকায় পর্যটক একেবারেই কম আমাদের বেচাকেনা ও কম হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে নীলডুমুর বাজার সংলগ্ন খোলপাটুয়া নদীর ট্যুরিস্ট ঘাটে যেয়ে দেখা যায় মানুষের চলাচল খুবই কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *