ePaper

শাহবাগে সমাবেশ করার ঘোষণা, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি

শাহবাগে সমাবেশে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ৩৫ প্রত্যাশী আন্দোলনকারীরা।
সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন ৩৫ প্রত্যাশীরা।

প্রতিবেদন:

শাহবাগে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত ৩৫ প্রত্যাশীরা। আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর শাহবাগে তারা সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

আন্দোলনের পটভূমি

৩৫ প্রত্যাশীদের পক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেন মওদুদ আহাম্মেদ মিঠু। তিনি জানান, চাকরিপ্রত্যাশীরা গত ১৩ বছর ধরে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ এবং ক্ষেত্রবিশেষে উন্মুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। রাজপথে তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি, সভা, সেমিনার এবং মানববন্ধন হলেও এখনো দাবি পূরণ হয়নি।

মওদুদ আহাম্মেদ মিঠু আরও বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে ৩০ থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত বয়সসীমা বাড়ালেও এটি মূল দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা ৩৫ বছর বয়সসীমার দাবি জানাচ্ছি এবং সরকারের ঘোষিত প্রহসনের গেজেট প্রত্যাখ্যান করছি। একইসঙ্গে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, ছেলেদের জন্য বয়সসীমা ৩৫ এবং মেয়েদের জন্য ৩৭ করার দাবি জানাই।’

সমাবেশের লক্ষ্য ও পরিকল্পনা

২০ জানুয়ারির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। মওদুদ আহাম্মেদ মিঠু বলেন, ‘আমরা জনদুর্ভোগ চাই না। তবে আমাদের দাবির প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে শাহবাগে সমাবেশ আয়োজন করছি। সরকারের প্রতি আমাদের অনুরোধ, যেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের মাধ্যমে আমাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করা হয়।’

উপস্থিত আন্দোলনকারীরা

সংবাদ সম্মেলনে ৩৫ প্রত্যাশী আন্দোলনের অন্যান্য নেতা এবং কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মো. ইউসুফ জামিল, সঞ্জয় দাস, আল-আমিন রাজু, ইমাম উদ্দীন ইমাম প্রমুখ।

দীর্ঘদিনের দাবি ও সরকারের প্রতিক্রিয়া

আন্দোলনকারীরা উল্লেখ করেছেন, দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করলে চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হবে। তারা সরকারের প্রতি দ্রুত এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

সমাবেশে সরকারের সহযোগিতার আহ্বান

আন্দোলনকারীরা আশা প্রকাশ করেছেন যে, সরকার তাদের দাবি মেনে নেবে এবং সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেলে এই আন্দোলন শেষ করা হবে।

Share Now

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *