জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
রাজধানীতে এখনো ঈদের ছুটির আমেজ চলছে। রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা কম। বন্ধ বেশিরভাগ দোকানপাট। ঢাকায় নিত্যপণ্য সরবরাহের অন্যতম কেন্দ্র যাত্রাবাড়ী আড়তও অনেকটাই নিষ্প্রাণ। সেখানে একদিকে যেমন ক্রেতা কম, অন্যদিকে আড়তে মাছ, সবজিসহ নিত্যপণ্য এবং ফল সরবরাহও স্বাভাবিক হয়নি। মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে যাত্রাবাড়ী আড়তের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকান এখনো বন্ধ। ক্রেতা সমাগমও অনেক কম। আড়তদাররা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটির কারণে সবজি সরবরাহ কম। তবে গত দু-দিনের তুলনায় মঙ্গলবার সরবরাহ বেড়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে, এর ওপর ঈদের ছুটি থাকায় মাছের সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে।
বাজারে সবজি কম, ক্রেতা কম, দামও ‘কম’
দুদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার যাত্রাবাড়ী আড়তে আম, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলের সরবরাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সবজির আড়তদার নাজিমুদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে সবজি আসছে না। আইসাওবা লাভ কী? কেনার মানুষ নাই। আগামী শনিবার থেকে সব ধরনের সবজিও যেমন আইবো বাজারে মানুষও থাকবো।
আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়স, উচ্ছে, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতাসহ বিভিন্ন সবজি নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। পাইকারির সঙ্গে খুচরাও বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি।
মাছের আড়তদাররা জানিয়েছেন, ঈদের আগে থেকেই মাছের সরবরাহ কম। কারণ, ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে ৫৮ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলছে। এর ওপর এখন চলছে ঈদের ছুটি। তাই মাছের সরবরাহ একেবারেই কম। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আড়তে মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।যাত্রাবাড়ী আড়তে ক্রেতার সঙ্গে পণ্য সরবরাহও কম
যাত্রাবাড়ী আড়তের মেহেন্দিগঞ্জ ফিশারিজের মালিক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মাছের সরবরাহ একেবারে কমে গেছে। সমুদ্রে মাছ ধরা নিষেধ। নদীতেও মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মাছ আসতেছে না। এখন আবার ঈদের বন্ধ।
ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ কম, দীর্ঘ ছুটিতে ধীরেসুস্থে ফিরছে মানুষ
তিনি বলেন, আড়তের প্রায় তিন হাজার ঘরের মধ্যে মাত্র আড়াইশো থেকে তিনশো ঘরে মাছ বিক্রি হচ্ছে। আর সবই বন্ধ। সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠলে মাছের সরবরাহ বাড়বে।
ফলের আড়তদাররা জানিয়েছেন, ঈদের বন্ধের কারণে গত কয়েকদিন ফলের সরবরাহ একেবারেই কমে গিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার কিছু ফলের ট্রাক এসেছে। আগামী দিনগুলোতে ফলের সরবরাহ ক্রমে বেড়ে স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন তারা।