মো. জাকির হোসেন, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে নির্মমভাবে খুন হওয়া আইনজীবী সুজন মিয়া হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম সেবা
গ্রেপ্তার কৃতরা হলেন-(১) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৩ নং কামাল পুর ইউনিয়নের বাসুদেবশ্রী (খালিশপুর) এলাকার বাসিন্দা হত্যা কান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া মুজিব (২৫), পিতা সামছুল হক (২) মৌলভীবাজার পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের রঘুনন্ধনপুর এলাকার ৫২ নং বাসার বাসিন্দা মো. আরিফ মিয়া, পিতা, সিজিল মিয়া, (২৭), (৩) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৬ নং একাটুনা ইউনিয়নের দিশালোক ইটা এলাকারবাসিন্দা হোসাইন আহমদ সোহান, (১৯) পিতা, আনসার মিয়া, (৪) মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ৬ নং টেংরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মাথিউরা চা বাগানের লক্ষণ নাইডু, পিতা, মনা নাইড়ু, (২৩) ও(৫) নেত্রকোনা জেলার, ইসলামপুর কাসিমপুর পুর্ব পাড়া এলাকার কেন্দুয়া থানার বাসিন্দা আব্দুর রহিম (১৯)। পিতা, মো. রফিকুল ইসলাম, হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, দুই বছর পুর্বে এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া মুজিবের সঙ্গে তার পাশের বাড়ির অগ্রনী ব্যাংক সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত মিসবাহ মিয়া এর সাথে পুর্ব হতে শত্রুতা ছিলো, তাই মুল পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া মুজিব চেয়ে ছিলো মিসবাহ মিয়াকে একটা শিক্ষা দিতে। তাই দুই বছর পুর্বে আসামী নজির মিয়া মুজিব, মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাটে একটি হোটেলে কাজ করাকালীন সময়ে রাজনগর এলাকার দুধ ব্যবসায়ী লক্ষন নাইড়ুর সঙ্গে পরিচয় হয়, সেই পরিচয়ের সুবাদে লক্ষন নাইড়ুর মাধ্যমে মিসবাহকে মারার জন্য টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করে নজির মিয়া মুজিব। লক্ষণের মাধ্যমে এসব খুনির সঙ্গে যোগাযোগ হয়, এবং মুজিব মোবাইল ফোনে তার টার্গেট (মিসবাহের) ছবি পাঠিয়ে বলে ছবির সঙ্গে মিল আছে তুমরা এখন নিশ্চিত মারতে পারো কিলারদের মারার জন্য ফোনে নির্দেশ দেন মুজিব কিন্তু মিসিং কিলাররা মুজিব মিয়ার নির্দেশ পেয়ে মৌলভীবাজার জেলা বারের সদস্য এডভোকেট সুজন মিয়ার ওপর ১০/১২ জন দুষ্কৃতকারী অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়, পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল মৌলভীবাজার মডেল থানায় নিহতের ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নোবেল চাকমা, সদর মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহবুবুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি জাফর হোসেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।