ePaper

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা

সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি

আহসান আলম, চুয়াডাঙ্গা

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ জেলার উপর দিয়ে কর্কট ক্রান্তি রেখা বয়ে যাওয়ায় শীতের সময় তীব্র শীত এবং গরমের সময় প্রচন্ড তাপ বয়ে যায়। গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার সাথে হিমশীতল বাতাসে মানুষের জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্ভোগ। সকাল ৮টার দিকে সূর্য উকি দিলেও তা উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। এতে খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রমিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে জেলায় এটিই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমিকরা। শীতের তীব্রতা বাড়লেও এক প্রকার বাধ্য হয়েই তাদের কাজ করতে হচ্ছে। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি, তাতে একদিন কাজ না করলে সংসার চলবেনা। তাই ভোর থেকেই এক প্রকার বাধ্য হয়ে পেটের দায়ে কাজে যেতে হচ্ছে। এতে অনেকেই শীতজনিত রোগে আক্রান্তও হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি গ্রামের আব্দুল্লাহ নামের নামের এক রাজমিস্ত্রী বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কাজে এসেছি। কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে কাপুনি ধরে যাচ্ছে। তবুও কিছুই করার নেই। পেটের দায়ে কাজে আসতেই হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের যে দাম তাতে একদিন কাজে না আসলে খাবার জুটবে না। তাই বাধ্য হয়েই কাজে আসতে হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *