ePaper

মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন জয়া, তবুও থাকেন ফিট

বিনোদন ডেস্ক

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন জয়া আহসান। এই মুহূর্তে তার দম ফেলার ফুরসৎ নেই। বাংলাদেশ তো বটেই টলিপাড়াতেও একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে চলেছেন জয়া। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ডিয়ার মা, যেটি অভূতপূর্ব সাড়া ফেলেছে দর্শকমহলে। আগামীকাল (১ অগাস্ট) মুক্তি পাবে পুতুল নাচের ইতিকথা। এরই সঙ্গে শ্যুটিং চলছে অর্ধাঙ্গিনী ২-এর। সব মিলিয়ে ভীষণ ব্যস্ত জয়া। কলকাতায় কাজের সূত্রে অহরহ যাতায়াত নায়িকার। এটা তার সেকেন্ড হোম বলা চলে। সম্প্রতি সেখানকার এক অনুষ্ঠানে এসে জয়া জানালেন ওপার বাংলার কোন কোন মিষ্টি খেতে তিনি ভালোবাসেন। এমনিতে জয়ার অভিনয়ের পাশাপাশি তার রূপের আগুনে জ্বলছে পুরুষমহল। বয়স যতই হোক না কেন, তা বোঝার উপায় একেবারেই নেই। নিজেকে কোন যাদুবলে ফিট রাখেন জয়া, তার সিক্রেট এখনও জানা যায়নি। জয়ার ফিট থাকার রহস্য অজানা হলেও তিনি মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন, এই সিক্রেট আর গোপন থাকল না। অন্য বাঙালিদের মতোই জয়াও মিষ্টিপ্রেমী। জয়ার প্রিয় মিষ্টির তালিকায় রসগোল্লা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে আরও তিন জনপ্রিয় মিষ্টি। জয়া জানিয়েছেন তিনি চমচম, বেকড রসগোল্লা এবং নলেন গুড়ের যে কোনও মিষ্টি খেতেই ভালোবাসেন। যদিও তার ফিগার দেখলে মনে হতেই পারে যে জয়া একেবারেই মিষ্টি ছুঁয়ে দেখেন না। কিন্তু তিনি যে এত মিষ্টি ভালোবাসেন তা জানা ছিল না। অভিনেত্রীর পুরোনো এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, তিনি আগে মিষ্টি খেতে একেবারেই ভালোবাসতেন না। কিন্তু কলকাতা তাকে মিষ্টি খাওয়া শিখিয়েছে। আর এখন কলকাতায় এলেই মিষ্টি খান জয়া। বিশেষ করে মতিচুরের লাড্ডু তার বিশেষ প্রিয়।

কলকাতা থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় বাঙালি মিষ্টি ভরে ভরে নিয়ে যান নায়িকা। অনেকেই তার থেকে এই শহরের বিভিন্ন মিষ্টি নিয়ে যাওয়ার আবদার করে থাকেন।  জয়া একবার মজার ছলেই বলেছিলেন, তিনি কারোর সঙ্গে মিষ্টি শেয়ার করে খান না। মন ভরে মিষ্টি খেয়েও বছরের পর বছর ধরে তার চাবুক ফিগার ধরে রেখেছেন। নিয়মিত ব্যায়াম, যোগাসনই যেন সেই ফিগারের পেছনের রহস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *